নাজমুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ধুনটে বহুল আলোচিত ধর্ষণ ও সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ মামলার ২ তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আলামত নষ্ট ও তথ্য গোপন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ তদন্ত করেছে পিবিআই। রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান মামলার বাদির অভিযোগের তদন্ত করেন। তিনি গত মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী ৭ জন স্বাক্ষীর মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর আগে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর মামলার বাদি পিবিআই সদর দপ্তর ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি লিখিত অভিযোগ করেন। বাদি অভিযোগে উল্লেখ্য করেন, ধুনট থানার তৎকালীন ওসি কৃপা সিন্ধু বালার বিরুদ্ধে মামলার আলামত নষ্ট ও বগুড়ার পিবিআই এর তৎকালীন এসআই সবুজ আলীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
বাদির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধুনট পৌর এলাকার অফিসার পাড়ার কলেজ শিক্ষক দম্পতির স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল ধর্ষণ ও সেই দৃশ্য নিজের মুঠোফেনে ভিডিও ধারণ করে প্রভাষক মুরাদুজ্জামান (৫০)। মুরাদুজ্জামান উপজেলার শৈলমারি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদি হয়ে ২০২২ সালের ১২ মে ধুনট থানায় মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন ধুনট থানার তৎকালীন ওসি কৃপা সিন্ধু বালা। ওই মামলায় মুরাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তারকালে জব্দকৃত মুঠোফোনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের প্রমান পেয়েছে পুলিশ। কিন্ত মামলা তদন্তকালে ওসি কৃপা সিন্ধু বালা আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জব্দকৃত মুঠোফোন থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ বেশকিছু আলামত নষ্ট করে।