শিফা চট্টগ্রামঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুকান্ত দাস কতৃক দুর্নীতির অভিযোগ, আদায়কৃত জন্ম-মৃত্যু-নিবন্ধন সংশোধন ও পুনমুদ্রন ফি যথা সময়ে সরকারি অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত ৫ ই আগষ্ট স্বৈরাচারী হাছিনার সরকারের পতনের পর। পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক পদচ্যুত হয়।এর পরবর্তী ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ প্রসাশনের আদেশক্রমে লোহাগাড়া উপজেলার সমবায় অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহাম্মদ নূর হোসেনের নজরে আসে সচিবের সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি। তিনি জানান, গণমাধ্যমকে জন্ম মৃত্যু-নিবন্ধন সংশোধন ও পুনমুদ্রন ফি আদায়ের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের। কিন্তুু সচিব আদায়কৃত ফি রাষ্ট্রীয় কোষাকারে যথা সময়ে প্রধান করেননি।বিগত ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং সমস্ত ফি সরকারি কোষাগার জমা দেওয়ার জন্য বলা হলে ও তিনি জমা দেন নাই। এবং অত্যন্ত পূর্ব যাচাই করে জানা যায়, বিগত ১৫ অক্টোবর ২০২৩ পর থেকে কোন অর্থ জমা দেননি।বিগত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ইং পর্যন্ত পুটিবিলায় আদায়কৃত জন্ম – মৃত্যু নিবন্ধন সংশোধন পুন মুদ্রন। ফি দেনার পরিমান ছিল ২৩৮২০১টাকা। সচিবের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করি। সেই অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন বুঝতে পেরে ২৯ অক্টোবর ৯৫০০০ টাকা জমা দিয়ে ৩১ অক্টোবর ওয়েবসাইটে চালান আপলোড দিয়েছেন,কিন্তুু এখনো ১৪৩,২০১ টাকা দেনা আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সমবায় অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন আরোও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিনের ফ্রি আদায় প্রতিদিন জমা দিতে হয়।সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা হাতে রাখা যায়, মানবিক কারনে আমরা প্রতি সপ্তাহের টাকা জমা দেয়াটা এলাউ মনে করি। কিন্তুু গত এক বছরে টাকা জমা দেয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ প্রসঙ্গে নিয়ে পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুকান্ত দাসকে একাধিকবার কল দিলে তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায় নাই। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা কর্মকর্তা ইনামুল হাছান বলেন, অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব যে কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মোতাবেক ব্যবস্থা নিব।