কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
চুনতীর ১৯ দিনব্যাপী ৫৪তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) ১৭তম দিবসের আলোচনায় বক্তারা
ফাসেক পাপাচারীর ফতোয়া প্রদান বৈধ হবে না যুগশ্রেষ্ঠ আলেম হযরত মাওলানা হাফেজ আহমদ প্রকাশ শাহ্ সাহেব কেবলা চুনতী কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী ৫৪তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) ১৭তম দিবসের অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম লোহাগাড়া চুনতীস্থ শাহ্ মনজিল সীরত ময়দানে ০১ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা বদিউল আলম। চুনতি হাকিমিয়া কামিল অনার্স মাস্টার্স মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন ও সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুল হক নিজামী এর যৌথ সঞ্চালনায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ শাহে আলম, আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা আবু মুসা খালেদ জমিল, কুতুবদিয়া আলহাজ্ব খলিলুর রহমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ আইয়ুব খান, খতিব মাওলানা মহিউদ্দিন মাহবুব। বক্তারা বলেন অনেকে প্রশ্ন করেন ইসলামের দৃষ্টিতে কে মুফতি হতে পারবেন? মুফতির জন্য মৌলিক কী কী বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করলে সেই মানুষকে শরিয়তের বিধিবিধানের ব্যাপারে নির্দেশনা ও ফতোয়া দিতে সক্ষম হবেন? বিদান হচ্ছে মুফতি ওই ব্যক্তি, যে বাস্তব ঘটনা উপলব্ধি করতে এবং দলিলসহ তার শরয়ি বিধান বর্ণনা করতে সক্ষম হবেন। শরিয়তের অসংখ্য বিধান তাঁর মুখস্থ থাকতে হবে। ইসলামে মুফতির গুরুত্ব অপরিসীম। মুফতি সাহেব রাসুল (সা.)-এর ইলমের (জ্ঞান) উত্তরসূরি। আল্লাহর পক্ষ থেকে নিযুক্ত প্রতিনিধি। তিনি আল্লাহর বিধিবিধানের ব্যাখ্যা দেন এবং সেটিকে মানুষের অবস্থা ও কাজের জন্য উপযোগী করে তোলেন। কারণ মুফতিকে ‘আহলুজ জিকির’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের কাছে জিজ্ঞাসার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা নিজে বলেছেন, যদি তোমাদের জানা না থাকে, তাহলে তুমরা আহলুজ জিকির তথা জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করো। কিন্ত মনে রাখবে ফাসেক পাপাচারীর ফতোয়া প্রদান করা বৈধ হবে না তুমরা তাঁদের ব্যাপারে সর্তক তাকবে। কোরআন তেলাওয়াত ও না’আতে রসূল (স.) পরিবেশন করেন মাওলানা মুহিউদ্দিন, মুহাম্মদ তাওসীফ খান, মুহাম্মদ শোয়াইবুল ইসলাম, হোছাইন মুহাম্মদ সাঈদী, নুরুল কিবরিয়া সাকিব। মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মাহফিল মোতওয়াল্লী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আযাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দিনার নাজাত, আলহাজ্ব আবু তাহের, এইচ.এম. মাহাবুবুল হক,শাহ মজিদিয়া আজমগড়ী ইসলামী কাফেলা বাঁশখালী শাখার সভাপতি হযরত আলহাজ্ব মাওলানা মীর আহমদ আনছারী, দৌহিত্র তৈয়বুল হক বেদার, মাওলানা জমিল উদ্দিন, সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ তারেক প্রমুখ।