চট্টগ্রামের চুনতী ১৯ দিনব্যাপী ৫৪ তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) ১০ম দিবসের আলোচনা
কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
চুনতীর ১৯ দিনব্যাপী ৫৪তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) ১০ম দিবসের আলোচনায় বক্তারা
পরিবার গঠনের প্রথম ও প্রধান ভিত্তি হলো বৈবাহিক বন্দ যুগশ্রেষ্ঠ আলেম হযরত মাওলানা হাফেজ আহমদ প্রকাশ শাহ্ সাহেব কেবলা চুনতী কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী ৫৪তম আন্তর্জাতিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) ১০ম দিবসের অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম লোহাগাড়া চুনতীস্থ শাহ্ মনজিল সীরত ময়দানে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন রামু জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আবদুল হক। চুনতি হাকিমিয়া কামিল অনার্স মাস্টার্স মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন ও সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ জিয়াউল করিম এর যৌথ সঞ্চালনায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বায়তুশশরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ, চট্টগ্রাম বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমি মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা সাফওয়ান আজহারী, চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক আলহাজ্ব মাওলানা ক্বারী রবিউল্লাহ, চুনতী শাহ্ মঞ্জিল হা-মীম একাডেমির অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা সালাহ উদ্দিন হাবিবী। বক্তারা বলেন পরিবার গঠনের প্রথম ও প্রধান ভিত্তি হলো বৈবাহিক বন্ধন, আমাদের সমাজে একসময় বিবাহের ক্ষেত্রে বর-কনে পছন্দের বিষয়টি পিতা ও পরিবারের মুরব্বিদের সংরক্ষিত অধিকার হিসেবে ভাবা হতো এবং এখনো অনেক পরিবারে সে রকমই ভাবা হয়। যারা পরস্পর স্বামী-স্ত্রী হবে, একে অপরের জীবনসঙ্গী হয়ে সারা জীবন সুখ-দুঃখ পরস্পর ভাগাভাগি করবে, তাদের জন্য পরস্পরকে জানা এবং তাদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি হিসাবে রাখা হতো না। আর পরিবারের প্রচলিত নিয়ম-কানুন মেনে সংসার করাটাই ছিল নব দম্পতির যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি। তাতে বেশির ভাগ জীবনই জ্বলেছে তুষের আগুনে। কিন্তু ইসলাম বলেছে, প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ তাদের সম্মতির ভিত্তিতেই হতে হবে। মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মাহফিল মোতওয়াল্লী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আযাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দিনার নাজাত, এইচ.এম. মাহাবুবুল হক, কোরআন তেলাওয়াত ও না’আতে রসূল (স.) পরিবেশন করেন হাফেজ আবদুল্লাহ আল মাহী, রবিউল আওয়াল, হাফেজ মাওলানা হুমায়ুন কাদের, সৈয়দ ফরহাদুল ইসলাম, তোহাব বিন হাবীব তজল্লী প্রমুখ।