মোঃ নাজমুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলা ধুনট উপজেলা আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবকে সামনে রেখে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পী কারিগরদের। বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দম ফেলার সময় নেই মৃৎশিল্পীদের। সু-নিপুণ হাতে মাটি ও রংতুলির ছোঁয়ায় দেবীকে রাঙিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেছে শিল্পীরা। কাদামাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে গড়ে তোলা হচ্ছে দেবীদুর্গার প্রতিমা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেউ কাদা তৈরি করছেন, কেউ কাদা থেকে দেবী হাত ও পায়ের রূপ দিচ্ছেন। মাটি দিয়েই সুনিপুণ হাতে দেবীর জন্য তৈরী হচ্ছে অলঙ্কারতুল্য কারুকাজ। জানা গেছে, এবার উপজেলায় ২৮টি মণ্ডপে পূজা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে কমতে পারে এর সংখ্যা। তবে দ্রব্যমূল্যের সাথে তাল মিলিয়ে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে রং, তুলি ও সাজসজ্জার। দাম বেশি হওয়ায় এবং প্রতিমা তৈরির মজুরি কম পাওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কারিহররা। তবুও দেবীকে নিপুন হাতে সাজাতে পেরে খুশির অনুভুতি প্রকাশ করেছেন।মৃৎশিল্পী রঞ্জিত রায় বলেন, আমরা চারজন মিলে কাজ করি। আমি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিমা তৈরি করে আসছি। দুর্গাপ্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা আমরা তৈরি করি। এবার ৮টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি। এবার পূজা কম হবে, তাই অর্ডার কম। প্রতিমা তৈরীতে প্রকারভেদে দাম কম বেশি রয়েছে। আরেক প্রতিমা কারিগর উজ্জ্বল রায় বলেন, ৭৫ হাজার টাকার প্রতিমা তৈরী করতে হচ্ছে মাত্র ২০ হাজার টাকায়।উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে দুর্গোৎসব পালনে মণ্ডপে মণ্ডপে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ২৮টি মণ্ডপে পূজা হওয়ার কথা রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষে জানা যাবে মুলত কয়টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।