মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছাড়ার পর গাইবান্ধায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতা সহ ইউনিয়ন পর্যায়ের কয়েক শতাধিক নেতা কর্মী বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। আত্মগোপনে যাওয়ার মধ্যে কয়েকজন সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরমেয়রসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দলীয় শীর্ষ পথধারী নেতারা রয়েছে। একাধিক নেতার বাড়ীতে তালা ঝুলতে দেখা গিয়েছে।
পদত্যাগের পর বিএনপি ও জামায়াতের নেতা কর্মীদের আনন্দ মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। এই আনন্দ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য কোন দুঃষ্কৃতিকারী যাতে কোন ধরনের অঘটন ঘটাতে না পারে সেজন্য সোমবার দিবাগত রাত থেকে পলাশবাড়ী থানা, সংখ্যালঘুসহ মন্দির ও সরকারি স্থাপনাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়া বসিয়েছে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে নেতাকর্মীর পাশাপাশি শিক্ষার্থী, স্কাউট, রোভাররা। পাশাপাশি রাস্তা পরিস্কারের কাজ করছেন তারা। থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল সামাদ মন্ডল বলেন, কোন দুঃষ্কৃতকারী যাতে সংখ্যালঘুসহ মন্দির, সরকারি স্থাপনায়, হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করতে না পারে সেজন্য তারা কড়া পাহাড়া বসিয়েছেন এবং জনগণকে সর্তক করার জন্য মাইকে প্রচার করেছেন।
থানায় দিন রাত এক করে পাহাড়া দিচ্ছেন জেলা সাংগঠনিক সস্পাদক রবিউল ইসলাম লিয়াকত বলেন, থানায় ও থানার পুলিশের নিরাপত্তার সার্থে, তাদের জানমালে নিরাপত্তা দিতে। বাসায় না ঘুমিয়ে থানায় পাহারায় আছেন, শামিম রেজা, মিল্লাত সরকার মিলন, আমোয়ার হোসেন লিখন, রিপন সরকারসহ ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। পলাশবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লাইছুর রহমান বলেন, যেহেতু আমরা কর্মবিরতিতে আছি তাই সকল সেবা থেকে আমরা বিরত আছি। আমাদের সাথে সব সময় থানা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতারা দিন ও রাতে আমাদের সময় দিয়ে সহযোগীতা করছে। সারাক্ষণ খোচ-খবর নিচ্ছে। এই অবস্থায় ১১ দফা দাবীতে বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্ম বিরতি পালন করছে গাইবান্ধা জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাত ৮ টায় জেলা পুলিশ লাইনে বিক্ষোভ করেন পুলিশ লাইন্সের কর্মবিরতি সদস্যরা।এর আগে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার ৮ ঘন্টা ডিউটি, ছুটি বৃদ্ধি, সোর্স মানি প্রদান, ঝুকি ভাতা,নিজ রেঞ্জে বদলিসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। আরো জানান তাদের এই দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।