এম আবু হেনা সাগর ঈদগাঁওঃ
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য পবিত্র মাস মাহে রমজান । সংযম ও ত্যাগের এই মাসে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা প্রতিটি অলিগলি থেকে শুরু করে হাট-বাজারে জমে উঠল হরেক রকমের ইফতারের সমাহার।
(১২ মার্চ) মঙ্গলবার প্রথম রোজার দিনে দুপুরের পরপরই দক্ষিণ চট্টলার বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের নিউ ষ্টার,পূরবানী হোটেল, এশিয়া হোটেল সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানে বিক্রি হতে দেখা গেছে ইফতার সামগ্রী। প্রায় সব দোকানেই ছিল ক্রেতাদের ভীড়। ছোলা, বুট, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, দই, মিষ্টি, হালিম, গরু-মুরগি-খাসির হালিমের পাশাপাশি অনেকে তাদের নিজস্ব বিশেষ আয়োজন নিয়েও বসেছেন। এবার ইফতার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, জিলাপী প্রতি পিস ৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মি-দানাসহ সব ধরনের ইফতার আইটেম কেজি প্রতি দুইশত টাকা হারে বিক্রি করে যাচ্ছেন বিক্রেতারা। রোজাদারেরা কিন্তু দাম যাই হোক না কেন প্রথম দিনেই ইফতারি কিনতে ভুল করেছেন না।
ঈদগাঁও স্টেশনের এক ইফতার বিক্রেতা জানান, ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করে প্রতি পিছ পাঁচ টাকায় ইফতারীর দাম রাখা হয়েছে। এছাড়া বাজারের ডিসি সড়কের রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হতে দেখা যায় কলা, তরমুজ, আনারস, আপেল, আঙ্গুর, লেবু, শশা, ধনিয়াপাতা, পুদিনা,ডাবসহ বিভিন্ন ধরনের ইফতার সামগ্রী। তবে শসা প্রতি কেজি ৮০,লেবু জোড়া প্রতি ৩০, ডাব প্রতি পিছ ১শত টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। রোজার প্রথম দিনে ফলের প্রতিও মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। তরমুজ, মালটা, কলার চাহিদা ছিল বেশি। মালটার দাম অন্যান্য সময়ের মতো থাকলেও তরমুজসহ কলার দামে অনেক বেশি। ছোট আকৃতির তরমুজ কিনতেও লাগছে দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা। বড় আকৃতির তরমুজে বিক্রেতারা দাম হাঁকাচ্ছেন ৪/৫শ টাকা।
জাগ্রত জালালাবাদের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট মোবারক সাঈদ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে সুন্দর পরিবেশে ইফতার করতে পারে সেদিকে সুদৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান মাঠ প্রশাসনকে।