মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহীঃ
রাজশাহী জেলা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদ হচ্ছে বাগমারা। এক সময় বাগমারার নাম শুনলেই লোকজনের নির্বিঘœ চলাচলা বন্ধ হয়ে যেতো। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বাগমারায় রাজত্ব কায়েম করেছে সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী। সে সময় বাগমারা ছিল অন্ধকার জনপদ। মানুষ চাইলেও দিনের বেলাতেও রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে পারতো না। ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বিশাল এক উপজেলা বাগমারা। এখানে প্রায় চার লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ১৯৮৩ সালে বৃহত্তর এই জনপদটি উপজেলার মর্যাদা পেলেও দীর্ঘদিন উন্নয়নের ছোঁয়া বঞ্চিত ছিল। বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দুঃশাসনের উত্থান ঘটে বাগমারায়। সেই সাথে বাগমারাকে একটি রক্তাক্ত ও সন্ত্রাসীর জনপদ হিসাবে পরিচিতি দান করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর বাগমারার মানুয়ের আশা-আকাংখার লালিত স্বপ্নকে সুখি ও সমৃদ্ধ বাসযোগ্য‘বাগমারা বিনির্মাণে’ কাজ শুরু করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায়, নিরলস প্রচেষ্টা ও বাগমারাবাসীর সহযোগিতায় বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলেছেন ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। সেই সাথে উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছেন। রক্তাক্ত বাগমারাকে করেছেন শান্তি আর উন্নয়নের জনপদ। বাগমারাবাসীর সুখে-দুখে পাশে থেকেছেন সর্বদায়।
ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের এমন কর্মকান্ডে ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও শুরু হয় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। সেই সাথে আত্মকর্মসংস্থান, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, কর্মসংস্থান এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেটা নিয়ে কাজ করেননি তিনি। অবহেলিত পশ্চ্যাদমুখ জনগোষ্ঠীর সেবায় ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি একজন নিবেদিত প্রাণ। এরপর আসে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও তৃতীয় বারের মতো একই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাগমারা হয়ে উঠে আধুনিক ও উন্নত উপজেলা।
বাগমারার প্রতিটি এলাকার সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থার সেতুবন্ধন তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামের আঁকাবাকা মেঠো পথও পাকাকরণ করা হচ্ছে সমান তালে। বাগমারাবাসীর জন্য এমন ব্যক্তি আর আগে আসেনি। বাগমারায় সকল ধর্মের লোকজন শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের ধর্মীয় সকল অনুষ্ঠানাদী পালন করতে পারে। নেই কোন রাজনৈতিক সহিংসতা। দিবারাত্রী লোকজন রাস্তায় চলাচল করলেও তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। নিশ্চিতে সবাই চলাচল করতে পারে পুরো উপজেলা জুড়ে। বাগমারাবাসীর স্বার্থে এবং উন্নয়নে সব ব্যতিক্রমী কার্যক্রম করে চলেছেন তিনি।
সদ্য প্রকাশিত বাগমারা উপজেলার ১৪ হাজারের অধিক নতুন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়েছেন অভিনন্দন। অভিনন্দন বার্তায় ২০০৮ সালের পূর্বের ইতিহাস ও বর্তমান সময়ের আধুনিক বাগমারার অনেক তথ্য দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা আছে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার কাজ করছে। সেই স্বপ্ন অন্তরে ধারণ করে বাগমারাকে “স্মার্ট বাগমারা” বিনির্মাণে কাজ করছে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। এ কাজে নতুন ভোটারদের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। উন্নত বিশে^র মত বাগমারাকে তৈরি করতে হলে মননশীল চিন্তা ও শানিত শক্তির কোন বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকায় উপজেলার প্রতিটি দৃশ্যমান কাজ করেছেন তিনি। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মিশেছেন সমান ভাবে। আপামর জনগণের সাথে দীর্ঘ সময়ের পথচলা আজ জনশক্তিতে পরিণত হয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি ৪র্থ বারের মতো নৌকা প্রতিকে বিজয়ী হবেন বলে মন্তব্য করেন বাগমারার জনসাধারণ।
এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেন, আমি চেয়েছি বাগমারার মানুষের কল্যাণ আর উন্নয়নে কাজ করার। সে লক্ষ্য নিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে আধুনিক এবং শান্তির জনপদকে “স্মার্ট বাগমারা” গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছি। প্রতিটি এলাকার মানুষের একদম কাছে গিয়েছি। তাদের সাথে কথা বলে সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। উপজেলার প্রায় প্রতিটি কাজ শেষ করার চেষ্টা করেছি। যেটুকু কাজ অসম্পন্ন রয়েছে তা শেষ করার পাশাপাশি স্মার্ট বাগমারা গড়তে নতুন ভোটার সহ উপজেলাবাসীর সহযোগিতা ও সমর্থন আশা করছি।