মোল্লা জাহাঙ্গীর আলম খুলনাঃ
জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য গোপন করে পাশের মিথ্যা সনদ এবং মিথ্যা জন্ম তারিখ দেখিয়ে খুলনার আওতাধীন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে ভ্রমণ সহকারীর দপ্তরে চাকুরী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোঃ সিরাজুল ইসলাম নামের এক নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভ্রমণ সহকারীর দপ্তরে মোঃ সিরাজুল ইসলাম সেন্ট্রি ডিউটি করছেন। সরকারি চাকুরিতে প্রবেশ করার সময় তিনি বয়স দেখিয়েছিলেন ২২ বছর কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার বয়স ছিল ৩১। সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়স না থাকায় দুর্নীতি ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বয়স কম দেখান মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
এমনকি বন বিভাগে চাকুরিতে প্রবেশের সময় মোঃ সিরাজুল ইসলাম মল্লিকের বেড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণি পাসের যে সনদ জমা দিয়েছিলেন বাস্তবে সে স্কুল সার্টিফিকেটও ভূয়া বলে প্রমানিত হয়।
নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগের পর থেকে মোঃ সিরাজুল ইসলাম হাজী মহসিন রোডস্থ ফরেস্ট কোয়ার্টারে নাইটগার্ড হিসাবে ডিউটি করেলেও বর্তমানে অবৈধ প্রভাব ও ক্ষমতার জোরে অপর দুর্নীতিবাজ বন প্রহরী মোঃ নজরুল ইসলামের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় রাত্রি কালীন পাহারার পরিবর্তে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বাসভবনের গেটে দিনে ৬ ঘন্টা করে সেন্ট্রি ডিউটিতে নিয়োজিত থাকেন। যার প্রমান বাংলো গেটের ডিউটি রেজিস্ট্রার।
পূর্বেও দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকুরি নেয়ার অভিযোগও পাওয়া যায় বন বিভাগের নৈশ প্রহরী মোঃ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।