শেখ ফারুক হোসেন বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আশাশুনিতে নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নোমান হোসেন যোগদান করেছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে তিনি আশাশুনি থানায় যোগদান করেন। আশাশুনিতে ওসি হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওসি হিসেবে এটাই তার প্রথম কর্মস্থল। সোমবার রাতে আশাশুনি থানায় তিনি পৌছালে আশাশুনি থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল ওয়াদুদ সহ থানার সকল স্টাফ নবাগত ওসি মোঃ নোমান হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরন করে নেন।ওসি নোমান হোসেন ২০১০ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ছাত্র হিসেবে ওসি নোমান খুবই মেধাবী ছিলেন। তিনি পঞ্চম শ্রেনীতে বৃত্তি প্রাপ্ত হন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুগোল ও পরিবেশ বিদ্যায় অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে ২য় স্থান অর্জন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর মাষ্টার্স করেন।নবাগত ওসি নোমান হোসেনের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কলেজপাড়া সাত নম্বর ওয়ার্ড পৌরসভায়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তানের পিতা। চাকুরী করার পাশাপাশি তিনি একজন সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমি মানুষ। ইতোমধ্যে তার লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে। যোগদানের পর ওসি নোমান হোসেন আশাশুনি থানা বাসীর উদ্দেশ্য করে বলেন-পুলিশ ও জনতার সম্পর্ক হবে বন্ধুর মত। জনসাধারণের যেকোন প্রয়োজনে পুলিশ সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর। আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন, তাহলে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমাদের জন্য খুব সহজ হবে।তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন- সন্ধ্যার পর একটা শিক্ষার্থীও আর বাজার-ঘাটে থাকতে পারবেনা। কোন চায়ের আড্ডায় থাকতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে পড়ার টেবিলে। তিনি আরো বলেন-আগের দিন শেষ আজ থেকে আশাশুনি থানার নতুন জীবন শুরু। কোন মাদক ও জুয়ার স্থান হবে না। হোক সেটা মোবাইল জোয়া বা অন্যকোন ধরনের জোয়া। জুয়ার সাথে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা। মাদক সেবককারী বা মাদক বিক্রেতা কোন দলের হতে পারেনা। এরা সমাজের শত্রু। এছাড়া তিনি আরো বলেন, থানায় জিডি করতে আসলে কোন টাকা লাগেনা। বাহির থেকে যদি কেউ জিডি করার জন্য অনলাইন করে তাহলে সেই কম্পিউটার ম্যানকে ৫০ টাকার ঊর্ধ্বে দেওয়া যাবে না। তিনি উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।