মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা সদর ৫নংবল্লমঝাড় ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড উওর খোলাবাড়ী, মোঃ লিটন মিয়া (৫০), পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা সদর থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায় করেন।
মোঃ নবী হোসেন (৩০), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, নবী হোসেন একজন নারী লোভী, নারী উত্যক্তকারী ও যৌতুকলোভী প্রকৃতির ব্যাক্তি। আসামী নবী হোসেন এর সহিত ১২ বছর পূর্বে আমার মেয়ে মোছাঃ লিলি বেগমের মুসলিম শরা-শরীয়ত মোতাবেক রেজিঃকৃত বিবাহ হয়। বিবাহের পর মোঃ নবী হোসেন এর সহিত আমার মেয়ে ঘর-সংসার করাকালে ঔরষে আমার মেয়ের গর্ভে দুইটি সন্তান জন্ম হয়। বিবাহের পর নবী হোসেন আমার মেয়েকে বিনা কারনে মারপিটসহ নির্যাতন করেন। আমি আমার মেয়ের সুখের কথা ভাবিয়া ইতিপূর্বে আমি একাধিকবার, মোঃ নবী হোসেনকে মোটা অংকের টাকা প্রদান করি। মোঃ নবী হোসেন আমার মেয়েকে সঠিকমত ভরন পোষন প্রদান না করিয়া টাকার জন্য নির্যাতন করিতে থাকে। মোঃ নবী হোসেন একাধিক মেয়ের সহিত সহিত পরকিয়া সম্পর্ক স্থাপনসহ একাধিক মেয়ের সহিত নারী কেলেঙ্কারী করিয়া জেল হাজতে আটক করে,মোঃ নবী হোসেন পুনরায় আমার মেয়ে লিলি বেগমকে বিনা কারনে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে বাড়ী হইতে বাহির করিয়া দেয়। আমার মেয়ে লিলি বেগম নিরুপায় হইয়া একবস্ত্রে আমার,আমার মেয়ে আমার বাড়ীতে অবস্থান করেছে মোঃ নবী হোসেন আমার মেয়ের কোন খোজ খবর কিংবা ভরন পোষন প্রদান করেন না। আমার মেয়ে মোছাঃ লিলি বেগম অসুস্থ হইয়া পড়িলে আমরা দ্রুত মেয়েকে গাইবান্ধা মাদার কেয়ার হাসপাতালে নিয়া যাই। সেখানে আমার মেয়ের সন্তান জন্ম হয়। মোঃ নবী হোসেন আমার মেয়ের কোন খোঁজ খবর না নিয়া উল্টা আমাদেরকে প্রকাশ্যভাবে হুমকী মোঃ নবী হোসেন আমার মেয়েকে নিয়া ঘর-সংসার করিবে না, আমার মেয়ে বাড়ীতে গেলে মারপিটসহ খুন ও জখম করে, উল্টা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়া জেল খাটাইবে, আর্থিকভাবে সর্বশান্ত করে, উক্ত বিষয়ে জানাজানী করিলে আমাদেরকে দেখিয়া লইবে মর্মে ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করেন। আমার মেয়ে লিলি বেগম তাহার সদ্য নবজাতক শিশুকে নিয়া গাইবান্ধা মাদার কেয়ার হাসপাতালে অতিকষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। ব্যাবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। বিষয়টি প্রশাসন ও জানে, তারপরও টাকার প্রভাবে সব ঢাকা পরে যায়। তাদের ভয়ে এলাকাতে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। কেউ মুখ খুললে পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাতে তাদেরকে নির্যাতন করা হয়। এ কারণে সবাই দেখেও না দেখার ভান করে।