মোঃ রফিকুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে অদ্যবধি কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। সাধারণ দিনমজুর থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো জীবন জীবিকা চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। প্রতিটি ব্যবসায়ী এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি। সরকারি বেসরকারি অফিসগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আতঙ্কের ছাপ বিরাজ করছে। কুড়িগ্রাম পৌর বাজারে বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানা যায়, ফল ব্যবসায়ী নন্দন সাহা বর্তমানে প্রতিদিন বিগত সময়ের তুলনায় অর্ধেক ফলও বিক্রি করতে পাচ্ছে না। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হতো এখন তা ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার ফল বিক্রি হয়। অবিক্রিত ফল গোডাউনেই পচে যাচ্ছে। পৌর বাজার এলাকার ক্ষুদ্র খাবার বিক্রেতা শফিকুল জানায়, আগের তুলনায় অর্ধেকের কম ব্যবসা হচ্ছে। যেখানে ৫/৭ হাজার টাকার ব্যবসা প্রতিদিন হতো এখন তা ২ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। এ কারণে কর্মচারীর বেতন দেওয়াই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাঁচা বাজার থেকে মাছ বাজার সর্বত্র ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। মাছের দাম কমলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা কোন ধরণের মন্তব্য পত্রিকায় দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীদের দাবি পরিস্থিতি থমথমে হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা।