বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয়দিয়ে চাকরী দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে শাহারুল ইসলাম গ্রেফতার
মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক শাহারুল ইসলাম কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা। গতকাল ২৩ মে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,রেজিঃ নম্বর-৭৩৯০৪ চাকুরীচ্যুত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮) গত ৩ মে ২০০৫ তারিখে বিজিবিতে যোগদান করেন। বিজিবিতে কর্মরত থাকাকালীন বেসামরিক ব্যক্তিদের যোগসাজসে বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের বিজিবিতে চকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখ ০ মাসের বেসামরিক জেলসহ চাকুরীচ্যুত হয়।
পরবর্তীতে উক্ত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম জেলসহ চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি পর্যন্ত বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে বেসামরিক বিভিন্ন মিডিয়া তৈরী করে সাধারণ চাকুরী প্রার্থীকে প্রলুব্ধ করার জন্য নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর উর্ধ্বতন অফিসার হিসাবে পরিচয় প্রদানের জন্য বিভিন্ন বহিনীর উর্ধ্বতন অফিসারের ভুয়া আইডি কার্ড বহন করতেন। এই ভুয়া পরিচয়ের আড়ালে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং অন্যন্য সংস্থায় অবৈধভাবে লোক ভর্তির কথা বলে সাধারণ জনসাধারণের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ মে ২০২৪ ইং অরিখ বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকায় র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, সাইবান্ধার একটি অভিযানে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানাধীন এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চাকুরীচ্যুত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮) কে গ্রেফতার করে। এসময় চাকুরীচ্যুত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮) এর কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল হিসাবে আর্মি, বিজিবি এবং পুলিশ ঝহিনীর সিনিয়র অফিসারদের আইডি কার্ড, বিভিন্ন পরীক্ষার নিয়োগপত্র, খালি স্ট্যাম্প এবং বিভিন্ন ঝাংকের ব্লাংক চেক জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত প্রতারক চাকুরীচ্যুত ল্যান্স নায়েক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮) গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানাধীন ঢোলভাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সামাদ এর ছেলে৷
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত প্রতারক মোঃ শাহারুল ইসলাম (৩৮) স্বীকার করেন যে, চাকুরীরত অবস্থা থেকেই তিনি এ ধরণের কার্যকালাপের সাথে জড়িত এবং প্রতারকের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তিনি বিজিবি হতে চাকুরিচ্যুত হন। বর্তমানে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ।