কুমিল্লানির্বাচন

কুমিল্লা সদর উপজেলায় আনারস মার্কার সমর্থনে সুয়াগাজি বাজারের জনসভায় জনতার ঢল

সালমা আক্তার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান (রিপন) এর রবিবার (১৯ মে) বিকেলে সুয়াগাজি বাজার এলাকায় নির্বাচনী এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়।জনসভায় ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান (রিপন) বলেন, আজ চারদিকে আনারসের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, এতোদিন ক্ষমতায় ছিলো তারা এই সদর দক্ষিণ উপজেলাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমি সদর দক্ষিণ উপজেলাকে মুক্ত করার জন্য নির্বাচনে দাড়িয়েছি। ইতিহাস এবং ঐতিহ্য মন্ডিত এই সুয়াগাজি বাজারে তারা কোনো উন্নয়ন করে নি। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, আমি নির্বাচিত হলে সুয়াগাজি বাজারকে পৌরসভার করব। সিটি করপোরেশনকে আর এইদিকে আসতে দিব না।মানুষ আর আপনাদের চায় না। আপনাদের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গিয়েছে। মহানগরের ভয় কোনো কাজ হবে না। আমি কাউকে ভয় করি না। আমার সাথে ঢাকা আছে। ২১ তারিখ আনারসে ভোটের মাধ্যমে সকল অপশাসনের জবাব দিবে।

জনতা এখন মুখিয়ে আছে আনারস মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য। জয়ের বিষয়ের আমি শতভাগ আশাবাদী। আর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা সদর দক্ষিণে কোন উন্নয়ন করে নাই, দুজন মিলে সদর দক্ষিণ উপজেলা খন্ড খন্ড করে লালমাই নামে উপজেলা করছেন। এই এলাকার মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। আমি নির্বাচিত হলে আমার ঘোষিত ২৩ দফা ইশতেহার আপনাদেরকে সাথে নিয়ে একটি একটি করে বাস্তবায়ন করবো। সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা কবর, যদি তাও না হয় আমি নিজের অর্থায়নে একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট করব। আপনারা আগামী ২১ তারিখ আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে, বিগত ১৫ বছরের সকল অপশাসনের জবাব দিবেন। তারই সাথে সদর দক্ষিণের সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদের সকল পকেট কমিটি বিলুপ্ত করবো এবং সকল প্রকার চাঁদাবাজী বন্ধ করবো। মাদক এবং সন্ত্রাসমুক্ত করবো, ইপিজেডের বর্জ্য আসা বন্ধ করবো, এলাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্মুন্নত রেখে শেখ হাসিনা সরকারের স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রা সাথে শামিল করবো ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান ক্ষমতায় ছিলো, কিন্তু তারা গত ১৫ বছরে তারা কোনো উন্নয়ন করে নাই। তাদের আমলে এলাকায় একফোটা উন্নয়নও হয়নি, হয়নি কোনো সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হয়নি কোনো নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
অদূরদর্শী, অপরিপক্ক নেতৃত্বের কারণের এই এলাকার কৃষ্টি কালচার আজ বিলুপ্তির পথে।তিনি হুশিয়ারি করে বলেন, নির্বাচনী এলাকায় যারা হোন্ডা এবং ভাড়া করা গুন্ডা নিয়ে মহরা দিচ্ছো, মহানগর থেকে আমার নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছো, তোমরা ইতিমধ্যে টের পেয়েছো প্রশাসনের ভূমিকা। কয়েকজন গুন্ডা এখন এলাকা ছাড়া। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে, এখন থেকে বহিরাগতরা নির্বাচনী এলাকায় ডুকলেই জেল দেওয়া হবে বলে দিয়েছে প্রশাসন। কুমিল্লা উঠার ভয় দেখাইয়ো না, মনে রাখবা কুমিল্লার পর ঢাকা আছে।
স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আখতারুজ্জামান রিপন আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও গোলাম সারওয়ার ও আব্দুল হাই বাবলুর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে আওয়ামী লীগের অনেক ভোটই রিপনের পক্ষে যাবে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্য দল গুলোর সমর্থনের ভোটাররাও রিপনকে বেছে নিতে পারেন। আখতারুজ্জামান রিপন বলেন, আমি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোথাও কোনদিন আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করিনি। সামাজিকভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। তাই আশা করছি দল-মত নির্বিশেষে সবাই আমাকে ভোট দিবে। এসময় নির্বাচনী জনসভায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button