কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
মোল্লা কান্দি লাল মিয়া পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৪ ইং সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের জন্য অতিরিক্ত ফি নেওয়া এবং নির্লজ্জ, দুর্নীতিবাজ প্রতারক, ধোকাবাজ, জুতার ব্যবসায়ী সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অবৈধভাবে সংবিধানের বাইরে নিজের জন্য বানানো পদ দখলকারী আহসানুল হক (দিলদার) মিয়ার ব্যাপারে ফুলে ফেঁপে উঠেছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার মোল্লা কান্দি লাল মিয়া পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ গেটে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিভাবক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ওই প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থলোপাটের বিশদ বর্ণনা দেন। বক্তারা বলেন, মোল্লাকান্দি লাল মিয়া পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এলাকার সর্বসাধারণের লেখাপড়া করার জন্য। আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো না। খুব কষ্ট করে সন্তানদের কে লেখাপড়া করান। কেউ কৃষি কাজ করেন, কেউ কৃষি মাঠে দিনমজুরের কাজ করেন, কেউ বা বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলায়, আবার অনেক দিন আনে দিন খায়। আর অবৈধ ভাবে পদ দখল কারী অযোগ্য নির্লজ্জ দুর্নীতিবাজ জুতা ব্যবসায়ী দিলদার মিয়া স্কুল-কলেজ নিয়ে ব্যবসা করিতেছে। ২০২৪ সালে এইচএসসি ফরম ফিলাপ এর বোর্ড ফি হচ্ছে বিজ্ঞান বিভাগ ১৮২৫/-টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ ১৬২৫/- টাকা। আর অবৈধভাবে অবৈধ নির্লজ্জ দুর্নীতিবাজ, ধোকাবাজ দিলদার মিয়া এইচএসসি ফরম ফিলাপের জন্য নিচ্ছে ৮৫০০/- টাকা করে প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে।
বর্তমানে দেশের এই কঠিন অবস্থায় যেখানে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা সেখানে নিজ স্বার্থ চরিতার্থের জন্য দিলদার মিয়া অনৈতিকভাবে এইচএসসি ফরম ফিলাপে সরকারি ফি থেকে অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ টাকা ছাত্রদের কাছ থেকে নিয়ে নিজে আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে।
যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৫ বছরের উপরে কোন ব্যক্তির চাকরিতে থাকার কোন সুযোগ নেই। নির্লজ্জ দুর্নীতিবাজ ধোকাবাজ দিলদার মিয়ার ৬৫ বছর শেষ হইছে গত ২৬/১২/২০২৩ ইং তারিখে। একজন জুতার ব্যবসায়ী কলেজ সমন্ধে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ব্যক্তি একটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত-প্রাপ্ত অধ্যক্ষ কিভাবে হইলেন। কলেজটাকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিলদার মিয়া এখন অবৈধ ভাবে আবার কলেজের কো-অরডিনেটর হয়েছেন এবং প্রতি মাসে ৩১ হাজার টাকা বেতন নিচ্ছেন। বাংলাদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ পদ নেই। বর্তমানে দিলদার মিয়ার কলেজে থাকার আর কোন সুযোগ বা কোন বৈধতা নেই। তাই অবৈধভাবে নিজের প্রয়োজনে বানানো পদ দখলকারি আহসানুল হক (দিলদার) মিয়া কে আজকে থেকে বয়কট করা হোউক।
বক্তারা উদ্দেশ্যে বলেন প্রিয় শিক্ষার্থীগণ ২০২৪ সালের এইচএসসি ফরম ফিলাপের ফি সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতীত অতিরিক্ত এক টাকাও দিবা না। সরকারি ফি নিয়ে ফরম ফিলাপ করাতে অবৈধভাবে পদ দখল কারি দিলদার মিয়া বাধ্য। আর কোন অন্যায়কে প্রশ্রায় দেওয়া যাবে না। প্রয়োজন হলে সবাই মিলে শিক্ষা বোর্ডে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করবো ফরম ফিলাপ এর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যাপারে। আমরা কেউই সরকার নির্ধারিত এইচএসসি ফরম ফিলাপের ফি এর চেয়ে অতিরিক্ত একটা টাকাও কেউ দিবেন না।দিলদার মিয়া নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এলাকাবাসি ও ত্রিমোহনার জনগনের সাথে প্রতিষ্ঠানের বহুবছরের সুসম্পর্ক ইচ্ছাকৃত ভাবে নষ্ট করিতেছে, যাতে এলাকার সচেতন জনগন প্রতিষ্ঠানে না আসে এবং তাদের যাতে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটতরাজ করতে সহজ হয়।
কলেজের অবৈধভাবে পদ দখল কারী দিলদার মিয়া অবৈধভাবে প্রতি মাসে কলেজ থেকে ৩১ হাজার টাকা বেতন নিচ্ছে যা ১০০ জন শিক্ষার্থীর প্রতিমাসের বেতনের সমপরিমাণ টাকা এবং প্রতি সপ্তাহে যাতায়াত এবং অন্যান্য ভুয়া ভাউচার দিয়ে হাজার হাজার টাকা কলেজ থেকে নিয়ে যাচ্ছে ও কলেজটাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু ও দেওলিয়া করে ফেলেছে।
বিগত ১০ বছর ধরে শিক্ষা বোর্ড অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়ার জন্য বার বার নোটিশ করে কিন্তু দিলদার মিয়া এই সব তোয়াক্কা না করে অবৈধ্যভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বিগত ১০ বছরে ৮০ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে বেতন উত্তোলন ও বিভিন্ন ভুয়া বাউচার বাবদ খরচ করে প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।সর্বশেষ গত ২৩/০৩/২০২৪ খ্রি. কুমিল্লা বোর্ডের প্রতিনিধি, ডিজি প্রতিনিধি, ইউনো স্যার সমন্বয়ে একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয় কিন্তু দিলদার মিয়ার ছলাকলা কৌশলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে যা প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকিস্বরুপ।
একমাত্র শিক্ষার্থী, কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী এবং পরিচালনা কমিটির সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তিগণই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট; তার কোনটার সাথেই দিলদার মিয়া বর্তমানে সম্পৃক্ত নন বিধায় প্রতিষ্ঠানে তার আসা যাওয়া, অবস্থান করা এবং কোনো কাজে নাক গলানোর কোনোরকম বৈধতা ও আইনগত অধিকার এবং এখতিয়ার তার নেই। তাছাড়া অনুমোদিত জনবল কাঠামোর বহির্ভূত নতুন কোনো পদ-পদবী যেমনি কেউ ইচ্ছামত সৃষ্টি করতে পারেন না তেমনি নিয়োগও দিতে পারেন না এবং নিয়োগ ব্যাতিত কাউকে প্রতিষ্ঠান তহবিল হতে বেতন কিংবা অন্য কোনোভাবেই একটি টাকা প্রদানের কোনো সুযোগ নেই, দুর্নীতিবাজ-ধোঁকাবাজ, প্রতারক, অর্থ লোলুপ, দিলদার মিয়াকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী জনগণের পক্ষ থেকে বয়কট ও প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান জানানো হলো।
অবৈধভাবে পদ দখলকারী আহসানুল হক দিলদার মিয়ার হাত থেকে এই স্কুল এন্ড কলেজকে বাঁচাতে হবে। বিগত ১০ বছরে আহসানুল হক দিলদার মিয়া বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করে স্কুল এন্ড কলেজের অর্থনৈতিক অবস্থাকে সম্পূর্ণ পঙ্গু ও দেউলিয়া করে ফেলেছে। তাই স্কুল এন্ড কলেজকে বাঁচানো আপনার আমার এবং ত্রিমোহনার জনগণের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। মোল্লা কান্দি লাল মিয়া পাইল স্কুল এন্ড কলেজের এ অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিত রুখতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে দিলদার মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।