বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৪৮০তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান চৌধুরী শিশির বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র
সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আব্দুল আলিম বাংলানিউজকে বলেন, বহিষ্কার হওয়া ছাত্র শিশিরের বিরুদ্ধে ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নিজ বিভাগের সহপাঠী ও সিনিয়র একাধিক ছাত্রীকে অশালীন ও কুরুচি সম্পন্ন মেসেজ পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ আনা হয়। গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির কাছে আইন বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে।
কমিটি বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে ‘মৃন্ময় আয়ান’ নামে একটি ভুয়া আইডি থেকে আইন বিভাগের এক ছাত্রীদেরকে খারাপ মেসেজ, ভিডিও ও মেসেজ পাঠানো হতো। ২০ মার্চ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিশিরকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মামলা না করায় পরদিন মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।
এরপর ২৫ মার্চ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা, আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
২৭ মার্চ বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা শেষে বিভাগের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী ও বিভাগের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।