মোঃ নাজমুল হাসানঃ
ধুনটে বাণিজ্যিকভাবে বল সুন্দরী, আপেল কুল, কাশ্মমীরি, ইন্ডিয়ান সুন্দরী, বাউফুল, অস্ট্রালিয়েড বিভিন্ন জাতের বরই চাষ হলেও টককুল জাতের বরই চাষ হয়নি। তবে এ মৌসুমে বাণিজ্যিক বরই চাষাবাদ করে নিজের ভাগ্য বদল করেছেন উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা সামসুল বারী আল আমিন। তার সফলতা দেখে অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
ধুনটে মানিক পোটল আইডিয়াল এগ্রো ফার্মে কৃষক সামসুল বারী আল আমিন চোখ জুরানো বরই বাগান গড়ে সবাই কে তাক লাগিয়েছেন। এখন তার বাগনে কাজ করছে প্রতিদিন ৮-১০ জন। বরই গাছগুলো পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা বড়ই গাছ গুলোতে রং বেরংয়ের বরইয়ের ভাড়ে নুইয়ে পড়ছে। দেশিও টককুল জাতের বরইগুলোর আকৃতি বল সুন্দরী, আপেল কুল, কাশ্মমীরি, ইন্ডিয়ান সুন্দরী, বাউফুল, অস্ট্রালিয়েড বিভিন্ন জাতের বরইয়ের থেকে হালকা ছোট হয় কিন্তু ফলনের দিক থেকে এটা বেশি হয় বলা যায় পাতার দ্বিগুণ ফল ঝুলছে প্রতিটি গাছে ।
১৩ বিঘা জমি নিয়ে সামসুল বারীর এ বাগন এখানে ৩ বিঘা জমিতে আগাম টককুলসহ বল সুন্দরী, আপেল কুল, বাউকুল বরই চাষ করা হয়েছে এবং মালটা ২ বিঘা, স্ট্রবেরি ৫০ শতাংশ, ড্রাগন ৪০ সহ অন্যন্য বরই চাষ হয়েছে । গাছ ভর্তি আপেলের মত লাল বরই দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। ওই বরই বাগান দেখতে বিভিন্ন স্থান হতে লোক আসছে এবং সখ করেই যেন বাগান হতে বড়ই কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সামসুল বারী আল আমিন তার বাগানে বেশিরভাগ দেশীয় জাতের টককুল বরই সহ অন্যন্য জাতের বরইও পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন। বড়ই গাছের চারা লাগানোর দুই বছরের মধ্যেই গাছে ফুল এসেছে। এখন ফল সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। এ বরই দেখতে সুন্দর, খেতেও টক ঝালে অন্য রকম সুস্বাধু। বাজারে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
তরুণ উদ্যোক্তা সামসুল বারী আল আমিন বলেন, ২০০০ সাল থেকে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে আজ আমি সফল। এই মৌসুমে আমি বরই, স্ট্রবেরি, ড্রাগন, মাল্টাসহ চাষ করেতে সব মিলে প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। চলতি মৌসুমে আমি ৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি, আরো ৭-৮ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। অনেক পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছি এবং আশা করছি মাল্টা, ড্রাগন, স্ট্রবেরিতেও ভালো ফলন ও আর্থিক স্বাবলম্বী হতে পারব। কৃষি কর্মকর্তাগন আমাকে অনেকভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে।
তিনি আরো বলেন আমি মনে করি বাংলাদেশে বেকারত্ব দূর করতে কৃষি সহ বিভিন্ন আবাদি জমিতে উন্নত মানের বাগান করে তাতে পরিচর্যা করে সফলতা অর্জন সম্ভব। এতে কৃষি অফিস সকল রকম পরামর্শ দিয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে যে রকম আমি উপকৃত হয়েছি।