এম আবু হেনা সাগর ঈদগাঁওঃ
ঈদগাঁওতে এখনো শীত না পড়লেও গরম কাপড় বিক্রির ধুম চোখে পড়ার মত। শীতের শুরুতে শীত নিবারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ফুট পাতে অল্প দামে শীত কাপড় কিনতে ভিড় করছে। রাত যতই গভীর হয় ততই শীত বৃদ্ধি পায়। কুয়াশা চাঁদরে ঢাকা পড়ে। বাড়ীর চালে টুপুর টাপুর কুয়াশার শব্দ শীত আগমনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারসহ বৃহৎ এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল হাট বাজারে বিপনী বিতানের চেয়ে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রি জমে উঠছে। গ্রামের সাধারণ লোকজন এই মৌসুমে অল্পদামে গরম কাপড় কিনতে পেরে খুশিও হচ্ছেন।
১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে বিগত দুয়েকদিন ধরে ফুটপাতে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা গরম কাপড় বিক্রি করার দৃশ্য। যেখানেই ক্রেতারা ভীড় জমায়।
এক ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরো শীত মৌসুমেও গরম কাপড় বিক্রি করে যাচ্ছি। তবে দামে বেশি ও মানে ভাল বলেও উল্লেখ করেন।
ঈদগাঁও বাজারে বিভিন্ন বিপনি বিতানে শীতকাপড়ের দাম চড়া হওয়ায় এখন ফুটপাতমুখী অনেকে। সেখানে স্বল্পদামে শীতের কাপড় পাচ্ছেন। আবার গ্রামাঞ্চলের নিম্ন আয়ের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে শীত মৌসুমে অর্ধাহারে অনাহারে থেকেও ছেলেমেয়েদের জন্য বা নিজেদের জন্য শীত কাপড় কিনতে পারছেন না।
দেখা যায়, অনেকে সারাদিন রিক্সা চালিয়ে ক্লান্ত শরীরে পরিবার-পরিজনের জন্য এক মুঠো খাবার জোগাড় করতে পারলেও শীত নিবারনের লক্ষ্যে নেই কোন গরম কাপড়। এই শীত মৌসুমে অসহায়-পীড়িত মানুষের পাশে বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসার আহবান সচেতন মহলের।
রাতে ঘুমানোর সময় গ্রামাঞ্চলের অনেকে গরম কাঁথা ব্যবহার করে। সারাদিন কড়া রোদ থাকলে ও সন্ধ্যার পর ঠান্ডায় শান্ত হয়ে আসছে প্রকৃতি।