রবিউল ইসলামঃ
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে নাহ ও বন্ধু” গানটির পরিপূর্ণ রুপ যেন ফুটে উঠেছে এক হোটেলের খাবার পরিবেশে। কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুদান, উদ্দ্যেগ ও সহযোগিতায় নয় ব্যক্তি উদ্দ্যেগে মাসে দুই দিন ৭০/৮০ জন কে ফ্রি-তে উন্নত খাবার খাওয়ান হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম। কোরআনের পাখি এতিমদের জন্য খাবার আয়োজন তাকে নিয়ে গেছে মহানুভবতার এক অনন্য উজ্জ্বলতায়।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল বাজারে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় হাফেজিয়া ও এতিমখানা ছাত্রদের পরম আত্মীয়ের মত ফ্রি-তে ভাল খাবারের আয়োজন করেন ভাই বোন হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আব্দুল হালিম সরদার। মাসে দুই দিন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের পাশাপাশি এসব আয়োজনে স্থানীয় গণম্যান্য ব্যক্তিরাও তার দাওয়াত গ্রহণ করে পরিপূর্ণ তৃপ্তি সহকারে খাবার খান।
সরোজমিনে গিয়ে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাদ জুমা ধুরইল বাজারের ভাই বোন হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টে গিয়ে এমনই দৃশ্যের দেখা মেলে। প্রতিটি চেয়ারে মাথায় টুপি পরে খাবার খাচ্ছেন কোরআনের পাখি ও এতিম ছাত্ররা। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর এমন মহানুভবতা যেন এক স্বর্গীয় অনুভুতি যা দেখে মুহূর্তেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষকদের সাথে উন্নত খাবারে যোগ দেন স্থানীয়রাও। খাবারের এমন আয়োজন দেখে মনে হয় হোটেলটিতে কোন অনুষ্ঠানের দাওয়াত খাওয়ানোর আয়োজন চলছে।
পুরো বিষয়টি জানতে কথা হয় ভাই বোন হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টর মালিক ব্যবসায়ী আব্দুল হালিমের সাথে। তিনি বলেন, ছোট বেলায় তাঁর বাবা মারা গেলে সে এতিম হয়ে যায়। জীবন জীবিকার তাগিদে ছোট বেলা থেকে কঠিন পরিশ্রম করে তিনি এতদুর এসেছেন। তাঁর পরিবারে দুই ছেলে আছে। মেয়ে না থাকার কষ্ট অনুভূত হওয়ায় একটি কন্য সন্তান দত্তক নেন। নবজাতক কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে ত্রিশ দিন পর তার মায়ের মৃত্যু হয়। হালিমা নামের সেই মেয়েটি মুলত ব্যবসায়ী হালিমের পরিবারে সকল সুখ ও আনন্দের চাবিকাঠি। পরিবারের সবাই তাকে খুবই আদর যত্ন করে। কারো বোঝার উপায় নেই মেয়েটি মা হারা। এত কিছুর পরেও হালিমের মন যেন অতৃপ্ত। সে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছোট ছেলে নাহিদ হাসান কে কোরআনের হাফেজ বানানোর জন্য বিভিন্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করালেও নাহিদ শেষ পর্যন্ত পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। অনেক চেষ্টা করেও সে তার ছেলে নাহিদকে হাফেজ বানাতে ব্যর্থ হওয়ার যন্ত্রনা যেন তাকে কুরে কুরে খায়। একষ্ট ও যন্ত্রনা তাকে নিয়মিত ব্যথাতুর করে তোলে। সে ছোট বেলায় তাঁর বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়েছে এবং শত চেষ্টার পরেও তাঁর ছেলেকে হাফেজ বানাতে না পারায় সে সিদ্ধান্ত নেয় যত দিন বাঁচবে কোরআনের পাখি ও এতিম বাচ্চাদের নিজের সন্তানের মত ভালোবাসবে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দোকান চালিয়ে যে আয় হয় সেখান থেকে টাকা বাঁচিয়ে মাসে দুইবার উন্নত খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন আঃ হালিম। যেই সিদ্ধান্ত সেই কাজ। কোরআনের পাখিদের জন্য তাঁর এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়সহ ধুরইল হাফেজিয়া কওমী ও এতিমখানা মাদ্রাসার মুহতামিম ও কোরআনের পাখিরা। বেঁচে থাকুক মানবতা উন্মোচিত হোক উদারতা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আঃ হালিমের মত উদার হোক সমাজের প্রতিটি উচ্চবিত্তরা। তাহলেই সমাজ থেকে দুর হবে হিংসা বিদ্বেষ আর হানাহানি। বেঁচে থাকুক মানবতা। যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকুক মানবতার ফেরিওয়ালা হালিমরা।
সরোজমিনে গিয়ে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাদ জুমা ধুরইল বাজারের ভাই বোন হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টে গিয়ে এমনই দৃশ্যের দেখা মেলে। প্রতিটি চেয়ারে মাথায় টুপি পরে খাবার খাচ্ছেন কোরআনের পাখি ও এতিম ছাত্ররা। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর এমন মহানুভবতা যেন এক স্বর্গীয় অনুভুতি যা দেখে মুহূর্তেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষকদের সাথে উন্নত খাবারে যোগ দেন স্থানীয়রাও। খাবারের এমন আয়োজন দেখে মনে হয় হোটেলটিতে কোন অনুষ্ঠানের দাওয়াত খাওয়ানোর আয়োজন চলছে। পুরো বিষয়টি জানতে কথা হয় ভাই বোন হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টর মালিক ব্যবসায়ী আব্দুল হালিমের সাথে। তিনি বলেন, ছোট বেলায় তাঁর বাবা মারা গেলে সে এতিম হয়ে যায়। জীবন জীবিকার তাগিদে ছোট বেলা থেকে কঠিন পরিশ্রম করে তিনি এতদুর এসেছেন। তাঁর পরিবারে দুই ছেলে আছে। মেয়ে না থাকার কষ্ট অনুভূত হওয়ায় একটি কন্য সন্তান দত্তক নেন। নবজাতক কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে ত্রিশ দিন পর তার মায়ের মৃত্যু হয়। হালিমা নামের সেই মেয়েটি মুলত ব্যবসায়ী হালিমের পরিবারে সকল সুখ ও আনন্দের চাবিকাঠি। পরিবারের সবাই তাকে খুবই আদর যত্ন করে। কারো বোঝার উপায় নেই মেয়েটি মা হারা। এত কিছুর পরেও হালিমের মন যেন অতৃপ্ত। সে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছোট ছেলে নাহিদ হাসান কে কোরআনের হাফেজ বানানোর জন্য বিভিন্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করালেও নাহিদ শেষ পর্যন্ত পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। অনেক চেষ্টা করেও সে তার ছেলে নাহিদকে হাফেজ বানাতে ব্যর্থ হওয়ার যন্ত্রনা যেন তাকে কুরে কুরে খায়। একষ্ট ও যন্ত্রনা তাকে নিয়মিত ব্যথাতুর করে তোলে। সে ছোট বেলায় তাঁর বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়েছে এবং শত চেষ্টার পরেও তাঁর ছেলেকে হাফেজ বানাতে না পারায় সে সিদ্ধান্ত নেয় যত দিন বাঁচবে কোরআনের পাখি ও এতিম বাচ্চাদের নিজের সন্তানের মত ভালোবাসবে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দোকান চালিয়ে যে আয় হয় সেখান থেকে টাকা বাঁচিয়ে মাসে দুইবার উন্নত খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন আঃ হালিম। যেই সিদ্ধান্ত সেই কাজ। কোরআনের পাখিদের জন্য তাঁর এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়সহ ধুরইল হাফেজিয়া কওমী ও এতিমখানা মাদ্রাসার মুহতামিম ও কোরআনের পাখিরা। বেঁচে থাকুক মানবতা উন্মোচিত হোক উদারতা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আঃ হালিমের মত উদার হোক সমাজের প্রতিটি উচ্চবিত্তরা। তাহলেই সমাজ থেকে দুর হবে হিংসা বিদ্বেষ আর হানাহানি। বেঁচে থাকুক মানবতা। যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকুক মানবতার ফেরিওয়ালা হালিমরা।