বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সম্পাদক ও প্রকাশক আনিসুর রহমানের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় “বিডিসি ক্রাইম নিউজ” নামে একটি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল । আর সেই পত্রিকাটিতে নওগাঁ থেকে মানিক হোসেন, সবুজ হোসেন মোশাররফ হোসেন শান্ত, আরিফ, সাব্বির হোসাইন রফিকুল ইসলাম, মঈন, সাদ্দাম সজিব, রিমন, আজিজুল হক নূরতাজ স্বর্ণা শাকিলা সহ কয়েকজন সদস্যকে নওগাঁয় “বিডিসি ক্রাইম নিউজ” এর অফিস দেওয়া হয় বলে জানা গেছে ।
বিডিসি ক্রাইম নিউজ এর সম্পাদক ও প্রকাশক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ও তার অনুমতিক্রমে নওগাঁ অফিস পরিচালনা শুরু করেন অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল এর সদস্যবৃন্দরা। পরে অফিসটি উদ্বোধন করেন বিগত বছরের ৪ঠা মার্চ ২০২২ইং বুধবার দুপুর ১২.০০ সময়। তারপর অফিসটি উদ্বোধন করেন এবং সকল সংবাদকর্মীদের আইডি কার্ড প্রদান করেন।
এ সময় সম্পাদক ও প্রকাশক আনিসুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন মানিক, সবুজ, মোশাররফ হোসেন শান্ত, সাদ্দাম হোসেন, রফিকুল ইসলাম মইন, সাব্বির, রিমন, আজিজুল হক, আরিফ, নূরতাজ শাকিলা স্বর্ণা সহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক বিন্দ ।
পত্রিকাটি অনুমোদন না পাওয়ায় বিডিসি ক্রাইম নিউজ এর সম্পাদক ও প্রকাশক আনিসুর রহমান কাউকে না জানিয়ে দৈনিক বাংলার পাতা নামে একটি নতুন পত্রিকার আবেদন করেন। যা একটি প্রবাদ আছে গাছে তুলে মই টান দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার কথা যা আমরা সকলেই কম বেশি জেনে থাকি, কিন্তু পরে যখন বিষয়টি জানাজানি হয় দৈনিক বাংলার পাতা নামের আবেদনের বিষয় তখন সম্পাদক আনিসুর রহমান নিজে বাঁচার জন্য একটি স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন বিডিসি ক্রাইম নিউজ এর নামকরণকারী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একজন সম্পাদক ও প্রকাশক কিভাবে প্রতিনিধিদের সাথে কোন প্রকার না জানিয়ে পত্রিকা পরিবর্তন করা এটা কোনো ভাবেই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আবার প্রতিনিধি গন দের কে হেনস্তা করার জন্য নামকরণকারীর ও প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম, জহুরুল হক কাজল, মাহাবুব আলম, কাজী সামিউল আরিফ শাওন আনিসুর রহমান সহ পাঁচ জনের নামে প্রায় ২১,০০,০০০ লক্ষ টাকার একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
মহামান্য আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর থানায় পাঠায় তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন থানায় মামলাটি পাঠিয়ে দেয় তদন্তের জন্য বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে এই মামলার এক নংবিবাদী মোঃ শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান আমি বিডিসি ক্রাইম নিউজ পত্রিকার নামকরণ করেছিলাম পত্রিকাটি অনলাইন ভার্সন ছিল আমার অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আমি পত্রিকাটি চালাতে পারি না আমার এলাকার ছেলে আনিসুর রহমান পত্রিকাটি আমার কাছে নিতে চায় তখন আমি তাকে বলি পত্রিকাটি আপনাকে দিতে পারি কিন্তু পত্রিকার কোন রকমের কোন ঝামেলা কোনো আর্থিক লেনদেন কোন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হলে আমি দায়ী থাকবো না বিধ্বায় তাকে আমি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পের উপর লিখিত করে পত্রিকাটি হস্তান্তর করি পরে তিনি নওগাঁ অফিস দিয়েছে তাও আমি জানিনা।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, বিডিসি ক্রাইম নিউজ এর সম্পাদক ও প্রকাশক আনিসুর রহমান একদিন মুঠোফোন এ কল দিয়ে আমাকে ডিসি অফিসে যেতে বলেন, আমি যাব না বললে আনিসুর রহমান আমাকে তার পোষা ছেলেপুলে দিয়ে বালুডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড আমাকে মারধর করতে থাকে এবং আমার মোটরসাইকেল টি নিয়ে চলে যায়। পরিশেষে আনিসুর রহমান এর সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন আপনি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনি আপনার মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিয়ে যান। তা না হলে তোদের ৫ জনের নামে টাকা আত্মসাৎ এর মামলা করবো এবং তোদের ৫ জনকে জেলের ঘানি টানাবো এই বলে আনিসুর রহমান ফোন কেটে দেন এবং আমরা আদালতে গিয়ে জানতে পারি যে আমাদের ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। জজ সাহেবের কাছে আমি শহিদুল ইসলাম এর একটায় দাবি জানায় মহামান্য আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্ত দিয়ে সঠিক বিচার করবে বলে আমি আশাবাদ।
এ বিষয়ে জহুরুল হক কাজলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান আসলে ভাই এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। পুলিশ টাকার বিনিময় তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই আমরা বাদী মানিক হোসেনের নামে একটি মামলা হয়েছিল সে মামলায় আমি সাক্ষী ছিলাম স্বর্ণা নামে এক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল ওরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ভয় দেখায় এ বিষয়ে আমি থানা একটি জিডি করে রাখছি পরে দেখি আমার নামে মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কাজী সামিউল আরিফ শাওন পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক আনিসুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।