মুন্নী আক্তারঃ
সম্পুর্ণ ঘটনার বিস্তারিত বলতে গিয়ে রাবিয়া সুলতানা বলেন এই ঘটনার পূর্বে ৭-৮-২০২৩ তারিখ মঞ্জুরের নেতৃত্বে বারাটে সন্ত্রাসী কতৃক আমার স্বামী নুরুল আলমের ভাই ইউসুফের ছেলে রাকিবের উপর ও হামলা করে ঐ সময় ধারালো কিরিচ দিয়ে রাকিবের ডান পায়ের ঘোড়ালীর রগ কেঁটে দেয় এবং আমার বড় ছেলে ইমন কে লোহার রড় দিয়ে বাম হাতে ও ডান পায়ে মেরে জখম করে এবং ইউছুফ কে দারালো দা দিয়ে মেরে কান কেটে দিয়েছিল এই বিষয়ে আমার স্বামী নুরুল আলম লোহাগাড়া থানায় অভিযোগ করতে চাইলে তখন কার দ্বায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ গ্রহণ করেন নি শেষে আমরা নিরুপায় হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত ২ চট্টগ্রাম ফৌজদারি সিআর মামলা করা হয় যার নাম্বার ৩৪৪ এই মামলায় জামিন পায় মঞ্জুর ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আবার নুরুল আলমের পত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখল করতে চাইলে এই বিষয়ে নিয়ে রাবিয়া সোলতানা বেগম মনজুর আলম গং এর বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন, উক্ত ডায়েরিতে রাবিয়া বেগম উল্লেখ করেন তিনি একজন সহজ সরল লোক হয়।
পক্ষান্তরে বিবাদী মঞ্জুর, (৩৫)পিতা আবুল হাসেম। আবু বক্কর (৩৯),পিতা-মৃত সাহেব মিয়া, মোঃ জামাল ((২২)পিতা আবুল কাশেম, কোরশেদ আলম(৩০)পিতা আবুল হাসেম, সর্বসাং লোহাগাডা রশিদের পাড়া খায়ের খলিফার বাড়ি, ৩নং ওয়ার্ড, ৬নং লোহাগাড়া সদর ইউপি, থানা লোহাগাড়া জেলা চট্টগ্রাম এরা সকলেই রাবিয়া সুলতানার প্রতিবেশি হয়।
এই বিবাদিগণ খুবই উশৃঙ্খল সন্ত্রাস বদমেজাজি মিথ্যাবাদি,জুলুমবাজ অত্যাচারী, ঝগড়াটে আইন অমান্য কারী প্রকৃতির লোক হয়।মনজুরের নেতৃত্বে এই সকল উশৃঙ্খল ব্যাক্তীরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা কিছুই মানে না আইনকে গাইন করে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সমাজে চলাফেরা করে। রাবেয়া বেগম এই মর্মে থানায় হাজির হইয়া মনজুর ও তার সাঙ্গ ফাঙ্গদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেন।
উপরোক্ত বিবাদীগণ রাবিয়া বেগম ও তার পরিবারকে মারধর করিলে উক্ত বিষয়ে রাবিয়া বেগম লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৯ তারিখ ৮-৭-২০২৩।উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে উপরোক্ত বিবাদিগণ বিজ্ঞ আদালত হইতে জামিন লাভ করিয়া পুনরায় সন্ত্রাসী কায়দায় নুরুল আলমের বৈধ জায়গা অবৈধভাবে দখল করার শ্রেষ্ঠা করছে। এবং উক্ত মামলা ফত্তাহার করার জন্য বারবার জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে রাবিয়া বেগম ও তার পরিবার কে ।।এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫-৮-২০২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমানিক ১০ ঘটিকায় মনজুরের নেতৃত্বে সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে মামলার বিষয়কে কেন্দ্র করে রাবিয়া বেগমকে দেখামাত্র তিক্ত হইয়া অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয় রাবিয়া বেগমকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাওয়া করে।
তখন রাবিয়া বেগমের উচ্চস্বরে আওয়াজ শুনিয়া ঘটনা স্থলে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে মঞ্জুর এবং তার সন্ত্রাস বাহিনীর হাত থেকে রাবিয়া বেগমকে উদ্ধার করে। উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে উপরোক্ত সন্ত্রাসীগণ কটুক্তি ও গাল মন্দ করিয়া বলে যে আগামী ২০-২৫-দিনের মধ্যে রাবিয়া বেগমের দায়ের কৃত মামলা তোলে না নিলে রাবিয়া বেগম সহ তার পরিবারকে রাস্তাঘাটে একা ফেলে মারধর করিয়া মেরে লাশ গুম করিবে মর্মে প্রাণ নাসের হুমকি ধমকি প্রধান করে মনজুর ও তার লেলিত সন্ত্রাসীরা ঘটনার স্তান ত্যাগ করে। বর্তমানেও ও তার সন্ত্রাস বাহিনী হুমকি ধমকি অব্যাহত আছে। মনজুর তার সন্ত্রাস বাহিনী এই বিষয় নিয়ে রাবিয়া বেগম ও তার পরিবার কে মেরে পেলার আশঙ্কা রইছে।