বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এবং স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে আত্মিক সাহায্য করার নাম দিয়ে আইডি কার্ড বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুরবীন মিডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ হায়দার জীবনের এর বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশে দুরবীন মিডিয়া ফাউন্ডেশনের নামে আইডি কার্ড বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরে শুরু হয় এম এল এম ব্যবসা।
এই এম এল ব্যবসার নেতৃত্ব দেয় আরেক প্রতারক মোহাম্মদ রাসেল। মোহাম্মদ হায়দার জীবনের ডান হাত আর বাম হাত সবই সে।
মানুষকে কোন ধরনের ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট দিয়ে মোটা করা হয়। ৭ দিনে আবার চিকন করা হয়। ডায়াবেটিস ভালো হয় ১৫ দিনে। শুধু তাই নয় সেক্সের ওষুধ পর্যন্ত বিক্রি হয়। প্রথম দিনে কাজ সাকসেস হবে বলে কি করে?
কোন ধরনের লাইসেন্স বিহীন এসব ওষুধ বা পণ্য দিয়ে মানুষের জীবননাশক মরন ফাঁদে ফেলে। আবার রাতের বেলায় মেয়েদেরকে দিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চালায় ও মাদক ব্যবসা করায়।
আরও জানা যায় যে, কোন ধরনের লাইসেন্স না করে এমএলএম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দুরবীন মিডিয়া। এই ফাউন্ডেশনের নাম দিয়ে ২০০৯ সালে দুরবীন মিডিয়া ফাউন্ডেশন লাইসেন্স করেছিলো। এর পর থেকে আর কোন ধরনের লাইসেন্স রেনু করা হয় নাই।
ভুয়া লাইসেন্স দেখিয়ে, ভুয়া আইডি কার্ড বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার ভালো ভালো পয়সা ওয়ালা লোকদের থেকে গরিব অসহায় মানুষকে সাহায্য করার নামে ডোনেশন নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই টাকা যাচ্ছে কোথায়?
বিক্রি করছে সার্ভিস কার্ড। প্রতি কার্ডের মূল্য এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে দশ হাজার টাকায় পর্যন্ত বিক্রি করছে দুরবীন মিডিয়া ফাউন্ডেশন। অফিস এর ঠিকানা : কম্বলইবড কমপ্লেক্স (৫ ম তালা) চৌমুহনী ( ফায়ার সার্ভিসের পাশে) আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম।
মোবাইল নম্বর ০১৯১১৭৯০০৫২
আবার নতুন করে কৌশল করে ঐখানে ঝুলিয়েছে দৈনিক একুশের বানি পত্রিকার সাইনবোর্ড। তাহালে পত্রিকা অফিসে এম এল এম ব্যবসা চলে কিভাবে?
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।এই বিষয়গুলো নিয়ে যাতে তদন্ত করা হয়।