চান্দ্রার ফরিদ মার্কেট থেকে ৯ নং ওয়ার্ড নগর পর্যন্ত পাকা রাস্তার সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম
শাহ্ আলম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চন্দ্র ইউনিয়নের ফরিদ মার্কেট থেকে ৯ নং ওয়ার্ড ১০৬ নং সাদুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পশ্চিম দিক পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটারেরও বেশি পাকা রাস্তা সংস্কার কাজ চলছে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, স্বেচ্ছাচারিতার ফলে সংস্কার কাজে অনিয়ম হচ্ছে, এ কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।
সরো জমিনে গিয়ে দেখা যায এল ই জি আর ডি এর অর্থায়নে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকেই lচলমান কাজের মধ্যে রাস্তার পাশে কয়েকটি গাইডওয়াল স্থাপন করা হলেও রাস্তার অনেক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে গাইড ওয়াল নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা না করে কাঁচা বাঁশের খুটি ও কাঁচা মাটি দিয়ে সাপোর্টিং দেওয়া হয়েছে l
সচেতন মহল মনে করছেন রাস্তার দু’পাশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে গাইট ওয়াল নির্মাল না করার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁচা মাটি সরে গিয়ে ধসে পরেযেতে পারে ব্যয়বহুল বাজেটে সংস্কারকিত রাস্তাটি.।
এতে সরকারের বাজেট কৃত ব্যাপক অর্থের অপচয় হবে। রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যানবাহন চলাচলে আবারো দুর্ভোগে পড়বে ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
এদিকে স্থানীয় এলাকার সচেতন মহল সংস্কার কাজের তদারকের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসনের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতা, উদাসীনতা খামখেয়ালিপণার কারণে রাস্তার যথাযথ নিয়মে সঠিক হচ্ছে না।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা এল জি আর ডি এর প্রকৌশলী রায়হান রায়ের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে গাইডওয়াল স্থাপনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কতৃপক্ষ তা অনুমোদন দেয়নি,তিনি আরো বলেন পরবর্তীতে আবার যখন বাজেট হবে তখন আমরা বিষয়টি নজরে আনবো l এদিকে উল্লেখিত রাস্তার সংস্কার কাজের ঠিকাদার নাসির মাঝি এর পরিচালনায় চলছে রাস্তার সংস্কার কাজ l
কাজের দায়িত্বে নিয়োজিতম মোহাম্মদ,আসলাম এর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন সিডিউল ও বিধি মোতাবেক আমাদের কাজ চলছে, আমাদের পক্ষ থেকে কাজে কোন গাফিলতি নেই lতিনি,আরো বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে গাইডলের অনুমোদন দেননি, তাই সেখানে আপাতত বাঁশ দিয়ে সাপোর্টিং দেওয়া হয়েছে।