চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের হালিশহর ৪৩ বস্তা মেডিকেল বর্জ্য জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের আনন্দবাজার টিজি কলোনিতে একটি ভাঙ্গারির কারখানা থেকে ৪৩ বস্তা মেডিকেল বর্জ্য জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় নগরীর মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার’ মালিক জমির উদ্দিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। জমির উদ্দিন সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিনের আপন ভাই। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- ভাঙ্গারির কারখানার মালিক মো. তৈয়ব এবং কর্মচারী মো. তানভীর।

গতকাল বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মুহম্মদ আশফাকুর রহমান। চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার বিরুদ্ধে মেডিকেল সংক্রামক বর্জ্য উপযুক্ত ইনসিনারেটরের মাধ্যমে বিনষ্ট না করে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এর আগেও একই অপরাধে সেবা সংস্থার মালিক জমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে গতবছর (২০২২ সালের ৩১ মার্চ) মামলা এবং তার আগের বছর (২০২১) আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে বন্দর থানাধীন টিজি কলোনিতে ভাঙ্গারির কারখানায় অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল। এসময় তারা ১৫টি বড় বস্তা ও ছোট ২৮টিসহ ৪৩ বস্তা চিকিৎসা বর্জ্য জব্দ করে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এসব বর্জ্য অনিরাপদ অবস্থায় মজুদ ও প্রক্রিয়াকরণরত করে সেখানে রাখা ছিল। তারা চিকিৎসা বর্জ্য মিশ্রিত সাধারণ বর্জ্য সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং সাইটে অপসারণ না করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় ভাঙ্গারি দোকানের মালিককে ঘটনাস্থলে পাওয়া না গেলেও কর্মচারী তানভীরকে আটক করা হয় বলে জানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

অভিযানের নেতৃত্বে দেওয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহ ও ধ্বংসের দায়িত্বে রয়েছে ‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটি হলুদ ও কালো রঙয়ের পলিথিনে করে চিকিৎসা-বর্জ্য সংগ্রহ করে। অভিযানে গিয়ে হলুদ ও কালো রঙের এসব পলিথিন জব্দ করা হয়। যা থেকে চট্টগ্রাম সেবা সংস্থার সংগৃহীত চিকিৎসা বর্জ্য প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ভাঙ্গারির দোকানদারের কাছে বিক্রি করা হয়। স্থানীয় তদন্তেও এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্বে অবহেলা করায় এর আগেও একই অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button