মোঃ নাজমুল হাসান নাজিরঃ ঢাকা সাভার মডেল থানায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত জসিম উদ্দিন তালুকদার। পুলিশের এ সদস্যের বিরুদ্ধে সোর্স সাগরের সাথে মিলেমিশে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে তারা মাদক ব্যবসায়ী,ও বিভিন্ন অসহায় ব্যক্তিকে মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে অর্থ আদায় করে থাকে ও মাদকসহ আটক করে অর্থের বিনিময়ে রফাদফা করে আসামীকে ছেড়ে দেয় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে অনুসন্ধান উঠে আসে, এমন আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য ও সোর্সের বক্তব্য অনুযায়ী সাভার পৌর এলাকার ফামের্সী ব্যবসায়ী রিদায় শর্মার থেকে গাঁজাসহ আটক করে ৪২ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। সাভার ভাগলপুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রনঞ্জুর নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা ও সাভারের সিরামিক চক এলাকার সিদ্দিকের কাছে থেকে রিকশা চুরির অভিযোগে এনে ১৯ হাজার টাকা নিয়ে তাদের সাথে রফাদফা করেন এএসআই জসিম উদ্দিন তালুকদার।
এমন তথ্য উঠে আসে স্বয়ং এএসআই জসিম উদ্দিন তালুকদারের নিজস্ব সোর্স সাগরের মাধ্যমে,সোর্স নিজেই এই কাজে সম্পৃক্ত ছিল, টাকার ভাগ সেও পেয়েছে বলে নিশ্চিত করে।
সোর্সের দেওয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে সাভার সিরামিক চক এলাকার ভুক্তভোগী যার বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির অভিযোগ এনে ১৯ হাজার টাকা আদায় করেছে এএসআই জসিম উদ্দিন, ও সোর্স সাগর।
সেই ভুক্তভোগী সিদ্দীকের কাছে এ বিষয় জানতে তার মুখোমুখি হলে,তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ভাঙ্গরী গাড়ি কিনছিলাম আমি _ব্যাটারী_ছাড়া সেই গাড়ি ধাক্কাতে ধাক্কাতে নিয়ে আসছিলাম সাগর নামের এক ছেড়া দেখছে,দেখে থানাত থেক এক দারোগা নিয়ে আসছে নিয়ে এসে আমার কাছ থেকে ১৯ হাজার টাকা নিছে। এই ভুক্তভোগী ব্যক্তির কাছে আরো জানতে চাওয়া তথ্য ও তিনি যা জানিয়েছেন
দারোগার নাম কি? জসিম।
আপনার কাছ থেকে কি বাবদ টাকা নিছে? এই গাড়ি চোরা গাড়ি হিসাব করে টাকা নিছে। আপনাকে কি মারধর করছিল? না মারধর করে নাই এখন থেকে উঠতে দিবে না এখান আধা ঘণ্টার মধ্যে থানায় নিয়ে যাবে হ্যান্ডকাফ লাগায়ে,পরে এইভাবে কথাবার্তা কয়ে টাকা নিয়ে গেছে। আপনি কি কোন স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন যে আপনি চোরাই গাড়ি কিনছেন বা বেচাকেনা করেন? কয়ছি আমি পুরান গাড়ি ভাঙ্গরী হিসাবে কিনছি ভাঙ্গরী হিসেবে কেনাবেচা করি এই কয়ছি। আপনার কাছে জসিম দারোগা কত তারিখে আসছিল? দুপুর ২টার দিকে।
কে কে আসছিল?আর কোন কনস্টেবল আসছিল?সাগর আসছিল সাগর দারোগাকে নিয়ে আসছিল,দুজন এসে দুইপাশে বসে আমাকে বার হবার দেয়না,আমি ভিতরে কাজ করছিলাম দোকানের,অনেক কথাবার্তা কয়ার পর কয় তুমি এই ব্যবসা করো এডা করো, সেডা করো।
আমার কাছে জীবনেও পুলিশ আসে নাই। ও ওনি ভাঙ্গরীর ব্যবসা করেন ভুক্তভোগী সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরেক ভুক্তিভোগী রিদায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে তাকে জিজ্ঞেসা করা হয় পুলিশের এএসআই জসিম উদ্দিন তালুকদার আপনার কাছে গাঁজাবাবদ ধরে কত টাকা নিছে? তিনি বলেন গাঁজাবাবদ না মদবাবদ ধরছে আমার, এরপর সমস্যা আছে বলে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশ একটি সু-শৃঙ্খলা বাহিনী হিসাবে দেশের আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখেছে ও মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। পুলিশের এ ধরণের অসাধু অর্থলোভী কিছু সদস্যের কারণে পুরো পুলিশের বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন তালুকদার কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে এই বিষয়ে ওনি কিছু জানেন না” বলে মন্তব্য করেন।এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান খান রিপনে সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান।