নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বহুল প্রতীক্ষিত একমাত্র ডিগ্রী কলেজ,মেঘনা পালের কোল ঘেঁষে,মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে,চারতল ডিগ্রি কলেজ ভবনটি।সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও আশানুরূপ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন,কালা চৌকিদারের মোড় থেকে ডিগ্রী কলেজ পর্যন্ত ১৪/২০’টি বালুরমহল রয়েছে।শুকনো মৌসুমে এই সড়কে থাকে মরুভূমির মত বালির ধুয়া।প্রতিনিয়ত চলাচল করে ২/৩’হাজার শিক্ষক,শিক্ষার্থী,পর্যটক ও প্রতিবেশী জনসাধারণ। শিক্ষার্থী ও প্রতিবেশীরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।রাস্তার পাশের প্রতিটা বাড়িতে নজর করলে দেখা যায় প্রতিনিয়ত বালুর কি যন্ত্রণা।
কলেজ’টির প্রিন্সিপাল বলেন,বালুর মহল ও ইটের ভাটার মাল বহনকারী নিষিদ্ধ পাহাড়টলী গুলো বেপরোয়া চলাচলে বিভিন্ন ধরনের এক্সিডেন্টে পতিত হচ্ছে,ঘুরতে আসা পর্যটকরা এবং কলেজ ছাত্রী-ছাত্রী ও পথচারীরা।বালু ও ইটের ভাটার মালিকরা সরকারদলীয় না হলেও তারদের রয়েছে অনেক প্রভাব। তাই কোন প্রকার পরিবেশ রক্ষার নিয়ম জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তাই করেননী বালু ইট ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবেশী এক ৬০’উর্ধ বৃদ্ধা বলেন,পাহাড় টলী গুলো চলাফেরা বেপরোয়া,রাস্তার দুই পাশেই বালুর মহলের কারণে ফুটপাতের দেখা নেই।
শুকনো মৌসুমে বালুর মহলের বালুর জ্বালায় বাড়িঘর ছেড়ে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে।বর্ষাকালের কথা আর কি বলবো,সরকারের সকল উন্নয়নের চিত্র এখানে মুখথুবড়ে পরেছে।আইনের বিধিনিষেধ এর কোন তোয়াক্কা না করে দিনের বেলাতে নিষিদ্ধ ট্রলি ও পাহাড় ট্রলির ব্যপরোয়া চলাচল হরহামেশা।
কদমতলীর এক ব্যবসায়ী বলেন,এই বালুর মহলের কারণে দেখে পানের ভিতরে কতবালু,প্রতিটা পণ্যের ভেতর বালু,আপনি চোখে দেখে একটা বনরুটি খাবেন না।একটু বৃষ্টি হইলে কাঁদা,রোদ উঠলে বালু,কত যে যন্ত্রণায় আছি বলে বুঝাতে পারবোনা।হাইমচর থানা পুলিশ ট্রলি গুলো দিনের বেলাতে চলা নিষিদ্ধ করন আইনে ব্যবহার করার জন্যে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছি।
শিক্ষার্থী,পর্যটক,ব্যবসায়ী,প্রতিবেশী ও পথচারীরা বলেন-বালুর মহলগুলো যেন এই রাস্তার পাশ থেকে উৎখাত করা হয়।এই সড়কটি হাইমচর ডিগ্রি কলেজ সড়ক।হাইমচরের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হাইমচর ডিগ্রি কলেজ,মাননীয় শিক্ষার্থী ও হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী সহ উপজেলা প্রশাসনের কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করছি।
এই বিষয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আলহাজ্ব ডা.দীপু মনি এমপি,মহোদয়ের নিকট জোরালো আবেদন,আপনার মাধ্যমে,সরকারের এই অর্জন হাইমচর কলেজকে ডিগ্রী কলেজে উন্নীত করা।আপনার সেই কষ্টের ফসল কিছু কুচুক্তি মহলের স্বার্থের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা এ পথে কলেজে আসা যাওয়া করতে অস্বীকৃতি জানায়।তাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি এর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
দয়া করে হাইমচর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অতি দ্রুত এসব বালুর মহল গুলো,কালা চকিদারের মোড় থেকে মেঘনার পাড় পর্যন্ত সকল বালুর মহল উৎখাত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন হাইমচর ডিগ্রী কলেজের সকল শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী ও প্রতিবেশী বসতিরা এবং ঘুরতে আসা পর্যটক বৃন্দ।
এবিষয়ে এলাকাবাসী ও কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন,অতিদ্রুত এসব এসব বালুরমহল ডিগ্রী কলেজ রোডের পাশ থেকে উৎখাত না করলে। ডিগ্রী কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসী,সুশীল সমাজকে নিয়ে আমরা একটি মানববন্ধন তৈরি করে হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অবস্থান করবো।এবং আন্দোলন ও মিছিল করতে বাধ্য হব।