দেশজুড়ে

গাইবান্ধার খামার বল্লমঝাড়ে স্বামী শ্বশুর- শ্বশুরী নির্যাতনের প্রতিবাদে গৃহবধুর সংবাদ সম্মেলন।

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
খামার বল্লমঝাড়ে স্বামী,শ্বশুর-শ্বশুরী কর্তৃক নির্যাতনের প্রতিবাদে গৃহবধু সুমি বেগমের সংবাদ সম্মেলন।

জানা গেছে,গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের খামার বল্লমঝাড় ডোলের মোড় সংলগ্ন সালেক মিয়ার পুত্র মোঃ ইয়াকুব আলীর স্ত্রী গৃহবধু সুমাইয়া আক্তার সুমি সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হয়ে ০৫ আগস্ট সকাল ১১টায় সিটি প্রেসক্লাব গাইবান্ধায় এসে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতা সুমাইয়া আক্তার সুমি জানায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের শলাইপুর গ্রামে অধিবাসী শফিয়াল এর প্রথম কন্যা সুমি ২০১৭ সালে ইয়াকুব আলীর সহিত মুসলিম প্রচলিত আইনে তাদের বিবাহ হয়। উক্ত বিবাহের পর সংসারের অভাব অটন দেখা দিলে স্বামী ইয়াকুব আলীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় পোশাক শিল্প কারখানায় চাকুরী নেন। সেখানে দুজন ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। সুমির বেতনের টাকা প্রতিমাসে স্বামী ইয়াকুব আলী নিয়ে তার নিকট জমা রাখে এবং একযোগে বেশ কিছু টাকা সুমির অজান্তে ইয়াকুব আলী তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এব্যাপারে সুমি স্বামী ইয়াকুবের কাছে গচ্ছিত টাকা কোথায়, জানাতে চাইলে ইয়াকুব আলী চড়াউ ওঠে।

এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ড সৃষ্টি হয়। ইয়াকুব আলী সুমি বেগমকে বেধর মারপিট করে আহত করে যন্ত্রনা শুরু পর্যায়ক্রমে সুমির সাংসারিক বিষয়টি স্বামী ইয়াকুব তার পিতা-মাতাকে তার দলে জড়িয়ে নেয় এবং সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয় সুমির জীবনের উপর। সুমির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। ইয়াকুব তার মাতা দুলালী বেগম ও পিতা সালেক মিয়ার কু-পরামর্শে রাত্রীতে ঘুমের ঘোরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা এবং ইলেকট্রিক তাতাল দিয়ে সুমির শরীরের বিভিন্ন গোপন স্থানে ছ্যাকা দেয়।

জামেলা যন্ত্রণা সজ্জ্য করতে না পেরে জীবন রক্ষার স্বার্থে সুমি প্রতিবেশী নয়ন তারার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এদিকে স্বামী ইয়াকুব আলী পিকাআপ যোগে ঘরে থাকা আসবাবপত্র, টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার ও তার ৩ বছর বয়সী সন্তানসহ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে খামার বল্লমঝাড় গ্রামে চলে আসে। এব্যাপারে সুমি বেগম গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি যথা নিয়মে তদন্তের জন্য এসআই মাইদুল সুমির বিষয়টি তদন্ত করেন এবং সুমির পুত্র সন্তানকে উদ্ধার করে সুমিকে দিয়ে দেন।

অন্য দিকে অত্যাচার নির্যাতনের হোতা শ্বাশুড়ী দুলালী বেগম ও শ্বশুর সালেক মিয়ার পরামর্শে স্বামী ইয়াকুব আলী স্ত্রী সুমিকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করছে। উল্লেখ্য প্রকাশ, এঘটনার আগেও যৌতুকের কারণে মারপিটসহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে এবং আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে সুমি সংসার ও সন্তানের দিকে তাকিয়ে উক্ত মামলাটি মিমাংসার মাধ্যমে তুলে নিয়েছিল। বর্তমানে সুমি সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিষয়টি দেখার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button