চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে রিটন দাশের নেতৃত্বে চাঁন্দা আদায় ও পূজা মন্ডপে বিভিন্ন অনিয়ম

কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক উপহার হিসেবে ৫০০ কেজি চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই চাউল বিতরণ করার কথা থাকলে ও খাদ্য গুদাম থেকে চাউল না দিয়ে লোহাগাড়া উপজেলার ১১১টি পূজা মন্ডপের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক কে নামে মাত্র (২০০০০)বিশ হাজার টাকা করে খাদ্য অফিসে বসে রিটন দাশের নেতৃত্বে অনুপ দাশ ও শিবু পাল বাবুল নাথ,মাষ্টার সুজিত পাল সহ মিলে এই টাকা দিচ্ছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বলেন আমাদের কে টাকা না দিয়ে চাউল দিলে আমরা তা বাহিরে বিক্রি করে আরও বেশি টাকা পেতাম বাহিরে চাউলের আড়তে সর্বনিম্নে চাউলের দাম কেজি ৪৫ টাকা হিসেব করলে আমাদের কে পূজা কমিটি টকিয়েছে। শুধু তাই নয় আমাদের কে যেই টাকা দিয়েছে সেইখান থেকে রিটন দাশের নেতৃত্বে ভূয়া কমিটির সকলে মিলে ৩০০/(তিনশ) টাকা করে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি রশিদ আদায় করছে যেই রশিদে কোন তারিখ নেই আমাদের থেকে যেই চাঁন্দা আদায় করছে তাহার পরিমান ৩০০ ×১১১=৩৩০০০/ টাকা। এই মোটা অংকের টাকা টা পূজার কোন কাজে ব্যবহার না করে ভূয়া কমিটির সভাই মিলে ভাগভাগি করছে এবং ধর্ম ব্যবসার নামে এভাবে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করতে উনার উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে গেলে উনাকে পাওয়া যায়নি উনার পিওন বলেন স্যার শহরে মিটিংয়ে আছেন উনার মোবাইলে ফোন করলে ও উনি রিসিভ করেনি, পরে এসিল্যাডের মোবাইলে যোগাযোগ করলে এসিল্যান্ড বলেন এই পূজার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা আপনারা ইউএনও স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই বিষয়টিতে নজর দেওয়ার জন্য লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমানের হোয়াটসঅ্যাপ জানানো হয়েছে এই বিষয়ে রিটন দাশের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমরা চাউলের পরিবর্তে ২০হাজার টাকা করে সকল মন্ডপে দিচ্ছি আর তিনশত টাকা কিসের চাঁন্দা জানতে চাইলে তিনি বলেন এইটা সদস্য ফি এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুবেল বলেন ডিও লেটারে চাউলের কথা যখন লেখা হয়েছে তা খাদ্য গুদাম থেকে চাউল নিয়ে যেইখানে টাকা বেশি পাই সেইখানে বিক্রি করবে এইটা পূজা কমিটির এক্তিয়ার। আর যে সরকারি উপহারের টাকা থেকে যেই তিনশত টাকা সদস্য ফি বাবদ কেটে নেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে আমরা কিছু যানিনা তবে লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ থেকে আমরা এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তা আমরা মাননীয় জেলা প্রশাসক কে জানিয়েছি এবং যারা আমাদের কে অবগত করেছেন তাদেরকে বলেছি কোন ধরনের চান্দা যেন দেওয়া না হয় লোহাগাড়া উপজেলার ইউএনও মহোদয় কে ও অবগত করবো

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button