মোঃ নাজমুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সবজির দাম যেন সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় কাঁচা বাজারে কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষরা। রবিবার(৬ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন শাক-সবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম চড়া।বাজারে সবকিছুর এমন উর্ধগতি দামের কারনে সবচেয়ে বেশি হিমসিম খাচ্ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে মরিচের দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা থাকলেও গত দুই তিন ধরে হঠাৎ করে কাঁচামরিচের দাম আকাশচুম্বিতে পৌঁছেছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে কাঁচামরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কাঁচামরিচ ছাড়াও করলা, বেগুন, আলুসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক দুই সপ্তাহে আগেও উপজেলা সদর, গোসাইবাড়ি,
মথুরাপুর,এলাঙ্গী,কালেরপাড়া,সোনাহাটা হাটসহ অধিকাংশ ছোট বড় বাজারগুলোতে কাঁচামরিচের কেজি ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গত দুই তিনদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কাঁচামরিচের সঙ্গে আলু ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। কাঁচামরিচ ও আলুসহ সবধরণের সবজির দাম দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষজন। কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি দোকানে কাঁচামরিচ থাকলেও অধিকাংশ দোকানে কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলার সদরের কাঁচা বাজারের ক্রেতা হযরত আলী বলেন, বাজারে কাঁচামরিচের ক্রেতার নাগালের বাইরে। খুচরা বিক্রেতারা কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তা ছাড়া আলু, বেগুন, পটোল করলাসহ সব ধরনের সবজির দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এ অবস্থায় আমরা নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছি।