চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
ভারতের পেয়াঁজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষনা করা হলেও রপ্তানি এখনো বন্ধ হয়নি, কিন্তু তার আগেই ব্যাবসায়িরা করলো সিন্ডিকেট আর, এমন সিন্ডিকেটদের প্রতিহত করতে প্রতিবাদে হট্টগোল করলো জনতা, এক রাতেঁই ৯৫ টাকার েপেয়াজের কেজি ১৭০ টাকা বিক্রির প্রতিবাদ জানালো জনতা।শনিবার সকাল যখন ৯ টা ঠিক তখনি চাঁদপুরের একমাএ বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরানবাজার পাইকারি পেয়াজের আরৎ গুলি খুলতে লাগলো, আর পেয়াজের১৬০-১৭০ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি করতে লাগলো ব্যাবসায়িক সিন্ডিকেট, ঠিক তখনি স্হানীয় জনতা সহ, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিরা এক হয়ে,মোস্তফা ট্রেডার্সের মালিক মোঃ মোস্তফা মোল্লার আড়তে গিয়ে অতিরিক্ত দামে পেয়াজ বিক্রির কারন জানতে চাইলে, মালিকের সাথে স্হানীয় মাইনুদ্দিন বেপারি,ফজল প্রধানিয়া,হজরত আলি হজুর সাথে বাকতিক্ততায় লিপ্ত হলে, হযরত আলি মালিক মোস্তফা কে ধাক্কা দিলে হট্টগোল শুরু হয়, এতে করে, ওই এলকার সকল পেয়াজ ব্যাবসায়িরা নিজেদের দোকান বন্ধ করে চাঁদপুর চেম্বার অফ কর্মার্সের সরনাপন্য হলে, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকের নেতৃত্ব, চেম্বার পরিচালক, গোপাল চন্দ্র সাহা, চাল ব্যাবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন পাটোয়ারী পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিব সাহা, সহ স্হানীয় ব্যাবসায়িরা বসে তাহা আলোচনা করেন, আলোচনা কালে পেয়াজ ব্যবসায়িদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, মোস্তফা মোল্লা,লোকমান বেপারি, শাহিন, সহ আরো কয়েকজন, ব্যাবসায়িরা বলেন এল সি বন্ধের ঘোষনায় জেলার ঢাকা চট্রগ্রাম, সহ সব জেলায় পেয়াজ ২ শ টাকা করে বিক্রি করছে, আর আমরা মোকাম থেকে আমদানি করেছি বেশি দাম দিয়ে তাছারা বেপারিরা আমাদের বলেছে, তাদের পেয়াজ ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে তাই, আমরা ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করার শুরু করেছি, তবে তারা আমদানি কৃত কোন রশিদ দেখাতে পারেনি যেখানে, ১৬০ কিনবা ১৪০ টাকা ক্রয় করেছে। এদিকে সুএে জানায় যে, পুরানবাজার এর সকল ব্যাবাসায়িরা বৃহস্পতিবার দিনে ৯৮ টাকা দরে পেয়াজ বিক্রি করেছে তাহলে তাদের ক্রয় ছিলো ৯০ টাকার মত, আর সেই পেয়াজ গুলি তারা শনিবার ১৬০-১৭০ টাকায় হাকায়, অথচ, বৃহস্পতিবার সন্ধার পরে ৬-৭ টি বড় ট্রাক করে পুরানবাজার পেয়াজ আমদানি কৃত গাড়ি এসেছে, আর শুক্রবার তারা দোকান বন্ধ রেখে শনি বারে সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রতি কেজি পেয়াজে ৫০-৬০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে, আর এর প্রতিবাদে জনগন ফুসে উঠলে, ব্যাবসায়িরা তাদের আসল রশিদ দেখাতে পারেনি ,
এমন এক পর্যায় বহু চেষ্টা করেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বা দিতে পারেনি চেম্বার কর্তৃপক্ষ, তবে, বহুবার ফোন করেও চাঁদপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিচালক কে খুজে না পেয়ে মার্কেটিং এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আগামি মাস থেকে এলসি বন্ধের কর্যক্রম শুরু হবে, তখন পেয়াজ আমদানি একে বারে কমে জাবে, যেহুত এখনো পেয়াজ রয়েছে বা আরো এল সির মাধ্যমে আসবে সেহুত পেয়াজের দাম আগের টাই আছে, যদি পূর্বে ১০০ টাকা ক্রয় হয়ে থাকে সব খরচ মিলিয়ে ব্যবসায়িরা ১০% বেশি দরে কেজি প্রতি বিক্রি করতে পারে তাই বলে এক লাফে ৬০-৭০ টাকা বারাতে পারে না, তবে সরকারি খোলার দিনে আমরা ভাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করবো, তখন কেউ যদি কোন কারচুপি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। এর পরে সভায় বলা হয় যে আমদানিকৃত ক্রয় থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে কেজি প্রতি বিক্রি করার, অথচ, সন্ধার পরেও বাজার গুরে দেখা যায় ১৫০ টাকা করে পাইকারি কেজি পেয়াজ বিক্রি করছে। এদিকে গোপনীয় সুএে জানা যায়, স্হানীয় পেয়াজ ব্যবসায়িরা নিজিশ্ব কিছু গোডাউন রয়েছে যেখানে শত শত বস্তা পেয়াজ মজুত রয়েছে, যাহা দিয়ে আরো এক মাস চলবে, এক দিকে পেয়াজ মজুত করে আমদানি সংকট আরেক দিকে, ভারতের এলসি বন্ধের নামক, সিন্ডিকেট তৈরির কারখানা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেবার পায়তারা চলছে পুরানবাজার পেয়াজ ব্যাবসায়িদের। অপর দিকে শুক্রবার এর বাজারে ভারতে ৬৬ টাকা রুপিতে পেয়াজের কেজি প্রতি বিক্রি হলে বাংলাদেশে সব খরচ মিলিয়ে আড়তে আশা পর্যন্ত ১ শ টাকা কেজি হতে পারে সেখানে অধিক টাকা হাতিয়ে ভেক্তাদের পকেট কাটার সমান কাজটি করছে ব্যবসায়িরা। আর ভারতের এমন আরপ আগামি মাসের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে, এবং চলতি মাসের পুরোটাই চলছে ভারতের পেয়াজ আমদানি, এমন পরিস্থিতি আর পুরানবাজার এর পেয়াজ সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রশাসনের নজরদারি কামনা করেছেন সচেতন মহল সহ চাঁদপুর বাসি।