মোঃ নাজমুল হাসান নজিরঃ
ক্ষমতার দাপটে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন অভিযোগ উঠেছে ডেজার মালিক বাবু ও বকুল ও ঠিকাদারের লোক মোঃ আহসান হাবীব এর বিরুদ্ধে বগুড়া জেলা ধুনট ইউনিয়নের শিমুলবাডী যমুনা নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং হুমকির মুখে পড়ছে বাদ স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদীর থেকে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। বছরের পর বছর ধরে এ অবৈধ কাজটি করে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল।
জানা গেছে, ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালুর বেশিরভাগই স্থানীয় ঠিকাদাররা তাদের নির্মাণ কাজে ব্যবহার করে। সড়ক ও সরকারি স্থাপনার মেঝে ভরাট করা হচ্ছে এই বালু দিয়ে। ভূগর্ভস্থ এ বালুতে কাদামাটির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে মাটি মিশ্রিত এ বালু দিয়ে তৈরি গার্ডার সেতু, কালভার্ট, সড়ক ও স্থাপনা টেকসই না হওয়ায় প্রতিবছর সরকারের উন্নয়ন কাজের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে। তাছাড়া কম খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে বালু পাওয়ায় ঠিকাদারদের পাশাপাশি বসতবাড়ি নির্মাণেও অনেকে পরিবেশ বিধ্বংসী এই ড্রেজার ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধুনট উপজেলার শিমুলবাডী ও শহড়াবাড়ী বিভিন্ন স্থানে এভাবে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে। অবৈধ মেশিনগুলোর মালিকরা ঘুরে ঘুরে যমুনা নদীর থেকে বালু উত্তোলন করছে। ধুনট উপজেলার শিমুলবাডী এলাকায় যমুনা নদীর কাছার থেকে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তালন করছেন বাবু ও বকুল নামের স্থানীয় দুই ডেজার মালিক। তিনি যমুনা নদীর পশ্চিম পাশের বক্সে বালু দিচ্ছেন। নদীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে পড়েছে নদীর দুপাশের ফসলি জমি ।এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানালেও তা কোনো কাজে আসছে না বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকেই।