চট্টগ্রাম

লোহাগাড়ায় রাতের বেলায় ভূমিদুর্ষদের দখলে রাজার খাল।

কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
লোহাগাড়ায় রাজার খাল দখলে, দালান তৈরি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। দিনের বেলায় কাজ বন্ধ থাকলেও,নির্ঘুম রাতের আঁধারে চলে নির্মান কাজ। লোহাগাড়া উপজেলার শাহ জব্বারিয়া সড়কের সেতুর পাশে চুনতি রাজার খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনার কাজে ব্যস্ততা সময় পার করছেন প্রভাবশালী ভূমিদুর্ষ চক্র। এভাবে খাল দখল হলে বর্ষায় লোকালয় প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। সরেজমিনে দেখা যায়, চুনতি রাজার খালটি পাহাড়ি অঞ্চল থেকে শুরু করে বেশ কয়টি গ্রাম অতিক্রম করে আধুনগর এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে চুনতি বাজার, সুফিনগর, মিরিখিলসহ ১০ গ্রামের পানি প্রবাহিত হয় এ খাল দিয়ে। এমন গুরুত্বপূর্ণ খালটি রাতের আঁধারেই দখল করে নিচ্ছে প্রভাব শালী ভূমিদুর্ষ একটি মহল। নির্মাণ হচ্ছে দালান। খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে বর্ষা মৌসুমে বাজার এবং পাশের হিন্দুপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে আধুনগর ইউনিয়নের রশিদার ঘোনা এলাকার বাসিন্দা মনজুর আলম ও নুরুল আবছার দালান নির্মাণ করছেন। দিনের বেলায় স্থাপনা নির্মাণের কাজে ধীরগতি হলেও সন্ধ্যা নামলে পুরোদমে কাজ শুরু হয়। লোকজনের দৃষ্টির আড়াল করতে উভয় পাশে টিনের ঘেরাও দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন খাল দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করলে তাদের উল্টো বিভিন্ন মামলা ও হামলার হুমকি দিচ্ছে এই মহলটি বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় জনসাধারণ। স্থানীয় মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা ইমতিয়াজ উদ্দীন আহামদ জানান, অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, উপজেলা প্রশাসন অদৃশ্য কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। পশ্চিম চুনতি হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা উজ্জ্বল দে বলেন, স্থাপনাটি নির্মাণ করা হলে আমাদের হিন্দুপাড়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পাড়ার মানুষের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তিনি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলে ও পাওয়া যাচ্ছে না হস্তক্ষেপ। অভিযুক্ত মনজুর আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জায়গাটি আমাদের দু-ভাইয়ের নামে খতিয়ানভুক্ত। একটি স্বার্থন্বেষী মহল বি়ভিন্ন অভিযোগ এনে হয়রানি করছে। তবে খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এই ঘটনার মুল নায়ক মঞ্জুর। চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার দাশ বলেন, খালের জায়গা এভাবে দখল করে এইভাবে দালান তৈরি হলে বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি পাড়ায় জলাবদ্ধতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবার আশঙ্কা রয়েছে। খালটি অনেক পুরনো, এটি রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের।লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইনামুল হাসানের সাথে ব বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে। কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button