মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহীঃ
রাজশাহীতে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী দুই পরিবার। ৫( সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় রাজশাহীর মহানগরীর অলোকার মোড়ে একটি রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সন্মেলন বক্তব্য দেন আব্দুল হালিম মতি নামে এক ভুক্তভোগী। তিনি জানান, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের দিন গত ৫ আগস্ট নগরীর রানীবাজার এলাকায় হামলা, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক শিক্ষার্থী হামলার শিকার হন। সেই ঘটনার জেরে গত ৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগে মামলাটি করেন দেলোয়ার হোসন নামে এক বাদি। যার মামলা নং ৯। প্রকৃত সত্য হলো আমার পরিবারের কোনো সদস্য কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এছাড়াও ওই ঘটনার দিন আমি ও আমার পরিবারের কোন সদস্য ওইদিন ঘটনস্থলে ছিলাম না। মজার ব্যাপার হল বাদিও আমাদের চেনেন না আমরাও বাদিকে চিনি না। এরপরও আমার পরিবার সদস্য রনি, জাকির ও মতিকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ষষ্ঠীতলা এবং গৌরহাঙ্গা এলাকার নিরপরাধ মানুষকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। যা মোটেও কাম্য নই। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাদের এ মামলা থেকে নাম বাদ দিবেন। এটাই আমাদের দাবি। পাশাপাশি মিথ্যা মামলার ইন্ধনদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার। এদিকে অপর ভুক্তভোগী নুসরাত জাহান বলেন, আমার স্বামী ইমদাদুল হক বাবু একজন ব্যবসায়ী। চক্রান্ত করে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় আমার স্বামীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটিতে ১২ নং আসামী করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৮। এই মামলাটি গত ২০ আগস্ট তারিখে করা হয়েছে। আরেকটি মামলায় ৫ নং আসামী করা হয়েছে। যার মামলা নং ১২। এই মামলাটি গত ১৫ আগস্ট তারিখের। তবে দুই মামলার বাদী দুইজন। ১২ নং মামলার বাদী রবিউল আলম মিলু অভিযোগে বলেছেন, তার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এমন ঘটনার আমার স্বামী কোনভাবে জড়িত নয়। সে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে হযরানির উদ্দ্যেশ্যে আমার স্বামীসহ এলাকার নিরীহ মানুষজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে যা মোটেও কাম্য নয়। এসময় নুসরাত জাহান সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তার স্বামীকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, প্রত্যেকটি মামলায় পুলিশ তদন্ত করবে । কোন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।