মোঃ রফিকুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে এল.এ শাখার উদাসিনতায় একটি প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক পরিবার অধিগ্রহণের প্রাপ্য অর্থ হতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার প্রতিবন্ধী ভিখারী মৃত: আজিজুল হকের ওয়ারিশগণ তাদের পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি হতে বঞ্চিত আজিজুল হকের পুত্র জাহাঙ্গীর। তার পিতা বিগত ৬/৬/৮৮ইং তারিখে ৩২৯৬ নং রেজিষ্ট্রিকৃত কবলা দলিল মূল্যে মোহাম্মদ আলী পিতা মৃত: আজিম উদ্দিন ৩০ শতক জমি খরিদ করে তারপর নিজ নামে খাজনা খারিজ করে ভোগ দখল করিয়া থাকা অবস্থায় আর.এস রেকর্ড যর্থারীতি তার পিতা আজিজুল হকের নামে প্রচারিত হয়। এরপর জাহাঙ্গীর এর পিতা আজিজুল হক ৩০ শতক থেকে ২৪ শতক জমি নিজের প্রয়োজনে বিক্রি করে। অবিক্রিত ৬ শতাংশ জমির মালিকানা তারই থাকে। এর মধ্যে ১ শতক জমি রাস্তায় চলে যায়। অবশিষ্ট ৫ শতক জমি জাহাঙ্গীর এর পিতা আজিজুল হকের নামে বহাল থাকে। তার পিতা মৃত্যবরণ করলে জাহাঙ্গীর সহ তার ভাই ও মা পৈত্রিক সূত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে তারা পরিবার সহ জমিতে বসবাস ও ভোগ দখল করতে থাকে। এমতা অবস্থায় জনস্বার্থ মূলক উদ্দেশ্যে জাতীয় মহাসড়কে উন্নতিশীল করণ শীষক প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রয়োজনে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনে ২০১৭ (২০১৭ সনের ২১ নম্বর আইন) এর চার ধারা অধিনে ৪(১) নং উপ-ধারায় দ্রষ্ট এল,এ কেস নম্বর ০৭/২০২১-২০০২ মোতাবেক ভূমি অধিগ্রহণ হওয়ায় জাহাঙ্গীরের পরিবার নিম্ন তফসিল বর্ণিত জমির বৈধ মালিক হওয়ায় তাদের সকলের নামে চার ধারা নোটিশ ও ফিল্ড বুকে নামঅন্তভুক্ত করে নাই। এই বিষয় নিয়ে এল.এ শাখার কর্মরত ব্যাক্তিদের সঙ্গে দফায় দফায় সাক্ষাত করলেও তারা জাহাঙ্গীরের পরিবারকে কোন পাত্তা দেয় নাই। অথচ রাস্তার নকশা অনুপাতে জাহাঙ্গীরের বাড়ির আশপাশের অনেক জমির মালিককে অধিগ্রহণের টাকা দিয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরের পরিবার তাদের মালিকানাধীন জমির প্রাপ্য অধিকরণের টাকা হতে বঞ্চিত। কুড়িগ্রাম এল,এ শাখায় বিষয়টি জানতে গেলে তারা নানা টালবাহানা ধমক দিয়ে অফিস হতে বাহির করে দেয়। জমি অধিগ্রহনের আইন অনুযায়ী তাদের কোন নোটিশ দেয়া হয় নাই। জায়গা অধিগ্রহণের জন্য জরিপের সময় রাস্তার জন্য মাপযোগ যখন করা হয় তখন স্থানীয় জরিপকারক আমিন মিনু ছিল। ওই স্থানীয় আমিনকে জাহাঙ্গীরের পরিবার চেনে। রাস্তার কাজ শুরু হলে জাহাঙ্গীরের পরিবারকে উচ্ছেদ করবে মর্মে জাহাঙ্গীর ও তার প্রতিবন্ধী ভাই সহ তার মা কোথায় আশ্রয় নিবে। পরিবারটি এখন দু-চিন্তায় আছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অসহায় ভিক্ষুক পরিবারটি বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]