বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর সরকারি রাস্তার দুই পাশে থাকা পুরনো গাছ কাটার হিড়িক পড়েছে। হঠাৎ করে ওইসব বড় বড় গাছ গুলি পাশের বাড়ির মালিকরা নিজেদের দাবি করে মূলবান গাছ গুলি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে। অথচ ওইসব রাস্তা দিয়ে ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধি, পৌর কাউন্সিলর সহ বহু সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী গনরা চলাচল করে, তাদের চোঁখে পরে গাছ কর্তনের দৃশ্যপাট, কিন্তু নজরে আসলেও সরকারি সম্পদ রক্ষায় তেমন কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি,। গেলো সপ্তাহে চাঁদপুর সদর ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন এর ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক তাহাজ্জল মেম্বার নগর এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে সরকারি রাস্তার পাশে থাকা দুই টি পুরনো দামি রেনডি কড়ই গাছ কেটে নিয়ে গেছে, সে সময় ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশ এর দফদার আব্দুর রশিদ ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক রা বিষয়টি বললে তিনি, বলেন আপনারা তাদের সাথে কথা বলুন, যিনি গাছ কাটছে তিনি সাবেক মেম্বার তিনি অনেক দিন অসুস্থ, অথচ বহু চেষ্টা করেও সেই মেম্বার কে খুজে পাওয়া না গেলেও ছোট ছেলেকে পেয়ে গাছের বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি গাছ গুলি নিজেদের দাবি করেন, এবং বলেন রাস্তা আমাদের জমির উপর দিয়ে গেছে, আর রাস্তার দুই পাশে যত বড় বড় গাছ আছে তাহা আমরা রোপন করেছি এবং এসব গাছের মালিক আমরা,
এদিকে সোমবার সদর ৯ নং বালিয়া ইউনিয়ন ফরক্কাবাদ বাজার থেকে বালিয়া বাজার সড়কের রাস্তার পাশে থাকা অনেক পুরনো ২ টি রেনডি কড় গাছ কাটতে দেখা যায়, আর সেখানে বলা হয় ওইসব গাছ তাদের তাই তারা কেটে নিচ্ছে। এর পরে চাঁদপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড এর জুট মিলের পরে সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহনাজ বেগমের বাড়ির একটু সামনে রাস্তার পাশে থাকা অনেক পুরনো দামি ২ টি রেনডি কড়ই গাছ পাশের বাড়ির লোকজন নিজেদের দাবি করে কেটে নিয়েছে, অথচ ওই সময় ওই পথ দিয়ে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম কে মোটরসাইকেল যোগে যেতে দেখা গেলো। কিন্তু সেখানে কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায় নি। এছারাও গত সপ্তাহে হাইমচর উপজেলায় চরভৈরবী সরকের কমডকার আরেকটু সামনে রাস্তার পাশে থাকা রেনডি কড়ই গাছ কর্তন কালে ওই ভদ্রলোক বলেন আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা গেছে তাই আমরা গাছের মালিক বলে কেটে নিছে। ঠিক এমনি করে গত কয়েক মাস যাবত চাঁদপুর জেলার, ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ- শাহরাস্তি-কচুয়া- মতলব দক্ষিণ- মতলব উত্তর, থানার বিভিন্ন এলাকার সাখা সংযুক্ত রাস্তার পাশে থাকা মোটা মোটা অনেক পুরনো যেমন ৩০-৪০ বা তার অধিক বছরের পুরনো গাছ গুলি কেটে নিতে দেখা গেছে। অথচ সরকার সব সময় ঘোষণা দেন গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান, আসলে আজ গাছ কর্তনের কারনে জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে, ফলে ঘূর্ণিঝড় আর ভূমিকম্প হচ্ছে সচঅচর।
অপর দিকে সরকার যখন রাস্তা তৈরি করেন তার আগে দুই পাশের জমির মালিকের কাছ থেকে জমি কিনে তার পরে রাস্তা করেন, সেখানে কোথায় রাস্তার প্রস্ততা ৩০ – ৮০ ফুট আবার কোথায় ২০ ফুট হয়, আর জমি কেনার সময় যদি কোন গাছ পরে তাহলে সেই গাছ গুলি সরকারি হয়ে যায়, আবার সরকারের পাশাপাশি কেউ যদি রাস্তার দুই পাশে গাছ রোপন করে তাহলে তার ফল ওই রোপনকারি খেতে পারবে কিন্তু দুই পাশের কোন বাসিন্দা গাছ কেটে নেবার আইন নেই, এমন আইন থাকা সত্বেও বর্তমান সময়ে সরকারি রাস্তার দুই পাশের গাছ কর্তনের হিড়িক কেনো সেটা জানার বিষয়। আর তাই এ বিষয় সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জেলার সচেতন মহল মনে করেন।