মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা ভূমি জরিপ নিয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেজাউল ইসলামের লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উম্মাচন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল।এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল আউয়াল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আল হাসান ,সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেজাউল ইসলাম সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রধানগণ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেজাউল ইসলামের লেখা বইটিতে ভূমি কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা ৭৯ শতাংশ মানুষের কাগজে কোনো না কোনো ত্রুটি রয়েছে। বাকি ২১ শতাংশের কাগজে ত্রুটি নেই। তাঁর কার্যালয়ে নামজারির জন্য আসা ১০ হাজার ২১৪ জনের মধ্যে জরিপ করে তিনি এসব তথ্য তুলে আনেন। এরমধ্যে আবেদনে প্রাপ্যতার চেয়ে দাবি বেশি ১৫ শতাংশ, শ্রেণির পরিবর্তন সমস্যা ১১ শতাংশ, দলিলের দাগের সঙ্গে খতিয়ানের দাগের অমিল ৬ শতাংশ, দলিলে খতিয়ান নম্বরের সঙ্গে প্রকৃত খতিয়ান নম্বরের অমিল ২ শতাংশ, খতিয়ানে লিখিত নামের সঙ্গে দলিলে লিখিত নামের অমিল ৩ শতাংশ, একাধিক দাগ থাকায় নামজারি ছাড়া বারবার জমি হাতবদল হওয়ায় জটিলতা ৭ শতাংশ, জাল খতিয়ান বা দলিল সৃজন ১ শতাংশ, ওয়ারিশ সনদ থেকে ওয়ারিশকে বাদ দেওয়া ১ শতাংশ, দীর্ঘদিন ধরে খাজনা বকেয়া থাকে ১৭ শতাংশ, বণ্টননামায় ত্রুটি ৩ শতাংশ ও একাধিক ভুল ১৩ শতাংশ অন্যান্য বিষয় গুলো তুলে ধরে বইটি প্রকাশ করেন।
অপরদিকে বইটির বিষয়ে একাধিক পাঠক বলেন, বইটি সময় উপযোগী বাস্তবতার সাথে মিল আছে । এ বইটি পড়লে যেমন ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতার বিষয়ে সচেতন হওয়া যাবে ঠিক তেমনি ভূমি বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞা অর্জন করা সম্ভব হবে। বইটির লেখক সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)রেজাউল ইসলাম বলেন, বইটি নামজারীর বিষয়ে জানতে সহায়তা করবে এবং ভূমি সেবা নিতে এসে কেউ কখনো আর প্রতারিত হবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]