চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলা ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন বাখেরপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেন মাঝির স্ত্রী শাহনাজ বেগম এর সম্পত্তি তার মেঝো ছেলে মোঃ কামাল হোসেন মাঝির নামে লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধ মাকে বেরধর মারধোর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোক্তভুগি অসহায় মা বলেন শুধু আমার গর্বের ছেলেই না তার সাথে তার বৌ ও আমার চুলের মোঠি ধরে টেনে হেচরে মৃত স্বামীর ঘর থেকে মারতে মারতে বের করেছে, সেদিন আশপাশের মানুষজন এসে আমাকে উদ্ধার না করলে ছেলে ও তার বৌ আমাকে মেরে ফেলত, এমন ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে অসহায় বৃদ্ধ মা নিজের জীবন বাঁচাতে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শাহনাজ বেগম।
আর ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের অভিযোগ দায়েরের জেরে ছেলে কামাল মা সহ অনান্য ভাইদের বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মির্থা সাজানো মামলা করেছেন বলে ভোক্তভুগি বলেছেন। তাছারা শাহনাজ এর বড় ছেলের বৌ বলেন আমার দেবর বেপরোয়া সে আমাদের দূরের কথা এই এলাকার কাহকে মানে না, আমরা কেউ প্রতিবাদ করলে সে আমাদের উপরও চড়াও হয়, এ বিষয়ে ছোট ভাই রাব্বি প্রতিবাদ করলে তাকে সে সহ কয়েকজন মিলে তিনবার মারদর করেছে। বিগত এক বছর ধরে আমার শাশুড়ী কে বরণ পোষন দেওয়া দুরের কথা এক থালা ভাত দেয় না অথচ শাশুড়ীর জমি তার নামে লিখে দিতে চাপ সৃষ্টি করে আসছে, এবং সে শাশুড়ী কে গেলো ১৬ তারিখ রাঁতে মেরে ফেলতে চেয়েছে, অথচ ওইসব অত্যাচার প্রতিবাদ করায় আমরাও তার মির্থা মামলার আসামি হই।
আর ছোট ভাই রাব্বি বলে কামাল ভাই মায়ের জমি বিক্রি করে টাকা নিতে একের পর এক মাকে মারদর করে আসছে, সাথে তার বৌ মিলে মাকে সেদিন মারতে চেয়েছে, আমরা গিয়ে মাকে উদ্দার করে আনি, আমাকে তিন বার মেরেছে এবং একে বারে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে, সে মামলাবাজ, কেউ তার অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালে মির্থা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়। আসলে আমরা এই বিষয়ে চাঁদপুর পুলিশ সুপার সহ জেলা প্রশাসকের সু দৃষ্টি কামনা করছি, বর্তমানে আমরা কামালে আতংকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অপর দিকে অভিযোগ সুত্রে সহ শাহনাজ বেগম বলেন আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির বি.এস আরেক জনের নামে উঠে উক্ত বি.এস সংশোধীনি মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রহিয়াছে। কামাল আমার স্বামীর রেখে যাওয়া একই সম্পত্তি প্রতরণা করিয়া বিভিন্ন লোকের কাছে বায়না করিয়া উক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন লোক আমার কাছে টাকা দাবী করিয়া আসিতেছে। কিন্তু উক্ত সম্পত্তির বায়নাকৃত টাকা কামাল নিজ জিম্মায় রাখিয়াছে। কামাল আমার উপর ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া মারধর করে। বিষয়টি আমার আত্মীয় স্বজন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে অবহিত করিলে বিবাদীদ্বয় কাউকে কোন তোয়াক্কা করে নাই। ঘটনার তারিখ ও সময় ঘটনাস্থলে ১নং বিবাদী আমার নামে মিথ্য অপবাদ দিয়ে বলে যে, উক্ত সম্পত্তি বায়নাকতৃ টাকা আমার কাছে রহিয়াছে বলিয়া ১নং বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া কাঠের লাঠি দিয়ে আমার তলপেটের নিচে আঘাত করিয়া প্রস্রাবের রাস্তায় গুরুতর রক্তক্ষরন করে। ১নং বিবাদী তাহার মাথায় দিয়ে আমার তলপেটে আঘাৎ করিয়া রক্তাক্ত জখম করে। ২নং বিবাদী আমার চুলের মুঠি ধরিয়া টানা হেছড়া করিয়া জখম করে। এমনকি আমাকে এলোপাতাড়ীভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। আমার ডাক চিৎকারে উল্লেখিত স্বাক্ষীগন আগাইয়া আসিয়া বিবাদীগনের কবল হইতে আমাকে রক্ষা করে বিবাদীগন বলে যে, আমি যদি এই বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেই, তাহলে আমাকে খুন জখম করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। স্বাক্ষীগন আমাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আনিয়া ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করায়, বর্তমানে আমার অঝোড়ে রক্ত ক্ষরন হইতেছে। আমি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রহিয়াছি। আমি এই বিষয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে অবহিত করি, তাহাদের পরামর্শে থানায় জানাইতে বিলম্ব হইল ।
বিগত এক বছর ধরে ছেলে ও ছেলের বৌর এর অত্যাচারে শাহনাজ বেগম সহ পরিবারের সকলে জীবনের নিরাপত্তা নেই বলে তারা জানান,এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খান জাহান আলি কালু পাটোয়ারী কে জানালে তিনি শালিশীর কথা বললেও কামাল তাহা মানে নি আর তাই ভুক্তভোগী মা বলেন আমি এই কুলঙার ছেলের বিচার চাই, একই সাথে আদালতে দেওয়া মির্থা মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক ও জেলা জজের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]