এম আবু হেনা সাগর ঈদগাঁওঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে সর্বত্র স্থানে ফের বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনে রাতে মশার দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বাসাবাড়ি, অফিস,রেস্টুরেন্ট,পরিবহণসহ মশার উৎপাত সহ্য করতে হচ্ছে নাগরিকদের। এমনকি বৃহৎ এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। মশা নিধনের উদ্যোগ জরুরী।ডেঙ্গু মহামারীতে জনজীবন অসহায়।
ময়লা-আবর্জনাতে জন্ম নেওয়া মশা উড়ে বাসাবাড়িতে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে কচুরিপানা ও পানিতে ভাসমান বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা থাকা মশাগুলো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান সচেতন মহল। তবে এডিস মশা নিয়েও সতর্কতা অবলম্বন করে যাচ্ছেন গ্রামীন জনপদের লোকজন।
অভিজ্ঞজনদের মতে, খাল পরিষ্কার করলে সেখানে সাথে সাথে (মশার ডিম ধ্বংস করার ওষুধ) প্রয়োগ করার কথা। মশার উৎপাত বৃদ্ধির কারণ হিসেবে প্রতি বছরই এই সময় প্রাকৃতিকভাবে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। পচা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে।
প্রতি সপ্তাহ অন্তর অন্তর ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। নিয়মিত জলাশয় ও পানি জমে থাকার স্থানগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
অন্যদিকে ঈদগাঁওর মাইজ পাড়া,মেহেরঘোনা,ভাদিতলা কলেজ গেইট, চান্দের ঘোনা, কালিরছড়া ভূতিয়ার পাড়া,মাছুয়াখালীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঈদগাঁও ঐক্য পরিবারের এডমিন পল্লী চিকিৎসক রেহেনা নোমান কাজল জানান, বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু মহামারী বা এডিস মশা থেকে বাঁচতে অতীব সর্তকতা থাকতে হবে, দিনের বেলায় মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাতে হবে। বাসা বাড়ির আশপাশে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, ফুলের টবে কিংবা গাবলায় জমে থাকা পানি ফেলে দিতে হবে। মশা নিধনে স্প্রে ছিটানো জরুরী। সম্প্রতি ঐক্য পরিবারের পক্ষ থেকে সতর্কমুলক লিফলেটও প্রচার করা হয়।
গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিন জানান, দিনে রাতে মশার অত্যাচারে ঘরে থাকা দায়। দিনের বেলায়ও মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হয়। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া অনেক কষ্টদায়ক হচ্ছে। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে হলে স্প্রে ছিটানো প্রয়োজন।
কুলিং কর্ণার কর্মচারীরা জানান, হোটেল বা ফাস্ট ফুডের দোকানে আসা মানুষজন মশার কামড়ে টিকতে পারেনা। মশা তাড়ানোর কোন ব্যবস্থা আছে কিনা,সেটি জানতে চান তারা। এত মশা আগে কখনোই দেখা যায়নি। দলবেঁধে মশা এসে নাকে-মুখে লাগে।
পথচারী আলম, হালিম, তাহেরেরা জানান, মশার জ্বালায় কোথাও দাঁড়াতে পারিনা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে মশা এমনভাবে কামড় দেয় যেন শরীরে পিঁপড়া কামড়াচ্ছে। রাতে তো আছেই দিনেও মশার অত্যাচারে টিকা যায় না।
মশার উপদ্রবে স্প্রে না ছিটানোর কারণে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় লোকজন অন্তত ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে নিজেরাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]