কামরুল ইসলামঃ
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং কাঞ্জরপাড়ায় মাদক চোরাকারবারী দম্পতির বসত-বাড়িতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ স্ত্রীকে আটক করলেও স্বামী পালিয়ে গেছে । এই ঘটনায় স্বামীকে পলাতক আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্র জানায়,গত ২০আগস্ট রাত সোয়া ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (বিশেষ জোন) এর আভিযানিক দল বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল মোস্তফার দিক-নির্দেশনায় উপপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন, তুমনি চাকমা, সহকারী উপপরিদর্শক আমজাদ হোসেন, সিপাহী আল মামুন সরকার, ওয়ারলেস অপারেটর মোঃ হাসিবুর রহমান, অফিসের রাঁধুনি রীনা বেগম ও গাড়ি চালক মোঃ শাহিনের সমন্বয়ে একটি রেইডিং টিম উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জর পাড়ার মৃত আব্দুল জাব্বারের পুত্র মাদক চোরাকারবারী জিয়া উদ্দিন ওরফে বাবুল শিকদার (৩৮) এর বসত-বাড়িতে অভিযানে যায়। এসময় বাবুল শিকদারের স্ত্রী রুজিনা আক্তার (২০) কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বামী-স্ত্রীর মাদক কারবারের বিষয়টি স্বীকার করেন।
পরে তার দেখানো মতে ভাড়াটে লোক দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরী করা পুটলা খেয়ে পাচারের জন্য মওজুদ করা হয়েছে। যা তার দেখানো ঘরের দক্ষিণ পাশের রোমের শয়ন কক্ষের বালিশের কভারের ভেতর হতে ক্যাপসুল সাদৃশ ৬০টি পুটলা উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি ক্যাপসুলে ১শ টি করে মোট ৬হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এসময় বাড়ির মালিক জিয়া উদ্দিন ওরফে বাবুল শিকদার পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ জোনের পরিদর্শক বিদ্যুৎ বিহারী নাথ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলায় জিয়া উদ্দিন ওরফে বাবুল শিকদারকে ১নং পলাতক আসামী এবং ইয়াবাসহ ধৃত রুজিনাকে ২নং আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করেছে। ডিএনসি মামলাটি তদন্ত করবে এবং জব্দকৃত আলামত টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (বিশেষ জোন) হেফাজতে রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]