মোঃ উজ্জ্বল মিয়াঃ
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আর অসাধু কর্মকর্তার বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভূমিহীন গৃহহীন মানুষ! আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার- মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষগুলোর কথা- ছাপা হয়না কোন খবরের কাগজে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিনস্হ একটি সরকারি প্রকল্প যার মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন এবং যার জমি আছে ঘর নেই এমন পরিবার এর জন্য বাসস্হান নির্মাণ করে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭২ সালের ২০ শে ফেব্রুয়ারী তৎকালীন নোয়াখালী বর্তমান লক্ষিপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫-ই আগস্ট দেশী ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসনের মতো জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো পুনরায় শুরু করেন। তাই তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মডেল সামনে এনে পিছিয়ে পড়া ছিন্নমূল মানুষকে মূলধারায় আনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন এবং একই বছর তিনি সারা দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন আশ্রয়ণ প্রকল্প।
তারই অংশ হিসাবে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় দশঘর ইউনিয়নে মাঝির খালের পাড়ে সরকারী ভূমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০-টি ঘর নির্মিত হয়েছে। ইতি মধ্যে নির্বাচিত সৌভাগ্যবানদের হাতে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে! সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ২০-টি ঘরের মধ্যে ১০- টি ঘরে মানুষ বসবাস করছে আর বাকী ১০-টি ঘর পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ।
এলাকায় গুনজন শুনা যাচ্ছে অনেক গৃহহীন ঘর পাননি কর্তাব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় এসব কার্যক্রম চলছে। নানা অনিয়ম আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দূর্নীতির কারণে এসব ঘর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খুজে অনেকেই বাড়ী ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র। কেউবা আবার আশ্রিতা হয়ে বসবাস করছেন এসব ঘরে। আশ্রয়ান প্রকল্পে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালে ফাটল ধরেছে, নিয়মিত রডের ব্যাবহার হয়নি সিমেন্টে ঘাঠতি- আর এসব কারণেই কিছু দিনের মধ্যে এসব ঘর বাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্তমান সরকার দলিয় এক নেতার কাছে এ ব্যাপারে যানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারী কাজে অনিয়ম হচ্ছে চোখের সম্মূখে- শত ইচ্ছে থাকার পরও কথা বলতে পারছিনা। কিছু বলতে গেলেই চাঁদাবাজির অভিযোগ কিংবা সরকারী কাজে বাঁধা প্রধানের অভিযোগ এনে মামলার ভয় দেখায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।