মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বৃহঃপতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৪ সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে। উপজেলার শিপুর ইউনিয়নের শোলাগাড়ী আলিম মাদ্রাসায় এই ঘটনায় আহত ৪ সাংবাদিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।তারা হলেন - মশিউর রহমান বাবু (মাইটিভি), শাহিন আলম (সকলের খবর) ফরহাদ হোসেন ফিটুল (নবরাজ), (আজকের জনগণ) ও আবু তারেক (সময়ের কন্ঠ)।
আহত সাংবাদিক শাহিন আলম জানান, উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শোলাগাড়ী দাখিল মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী রিপন কারাবন্দী থেকেও বেতন পাচ্ছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উক্ত মাদ্রাসায় যাওয়া হয়। মাদ্রাসা সুপার মিনহাজ উদ্দিনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে কারাবন্দী নৈশ্য প্রহরী রিপনের বাবাসহ অন্যান্য শিক্ষকরা এলোপাথাড়ি মারধর করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম জানান, আহত সাংবাদিকদের মধ্যে আবু তারেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই প্রলয় কুমার বর্মা জানান, ঘটনাস্থলে থেকে আহত সাংবাদিকদেও উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। এসময় অভিযুক্তদেও পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসার সুপার মিনহাজ উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ্ বলেন,এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আহত সাংবাদিকদের দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খোজ খবর নিতে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান,উপজেলা নিবার্হী অফিসার আরিফ হোসেন,থানা অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ,পুলিশ পরির্দশক তদন্ত বুলবুল ইসলাম,প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক রাসেল কবির,রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি ডিপটি প্রধান,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি জিল্লুর রহমান প্রমুখ।অভিযোগ উঠছে শোলাগাড়ী ঈদগাহ আলিম মাদ্রাসার জাল সনদের অধ্যক্ষ মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।ভূয়া অধ্যক্ষকে আইনের আওতায় আনা হোক।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]