বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, আমাদের আত্মপরিচয়ের সুযোগ এনে দিয়েছেন। বাঙালি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। সে পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারপরেই সেই ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সাল আমাদের জাতির জীবনে একটি কালো অধ্যায়। ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার অসম্প্রদায়িক যে চেতনা, সেই চেতনাকে নস্যাৎ করে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী যারা, যাদের বিচার হচ্ছিল, তাদের কারাগার থেকে মুক্ত করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। খুনিদের ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দেওয়া হয়েছিল।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের যে কোন মানুষ তার আপনজন খুন হলে বিচার চায়, আর আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমাদের বিচার চাওয়ার কোনো অধিকারই ছিল না। মামলা করার অধিকার ছিল না। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
জিয়াউর রহমান তাদের পুরস্কৃত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা আসে, ওই ফারুককে ফ্রিডম পার্টির করার সুযোগ দেয়, রাজনীতি করার সুযোগ দেয়। রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কর্নেল রশিদ, হুদা নিয়ে জনগণের ভোট চুরি করে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে। যে নির্বাচনে ২/৩ শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণের ভোট চুরি করে ওই রশিদকে পার্লামেন্টের বিরোধী দলের আসনে বসায়। হুদাকে পার্লামেন্টের মেম্বার করে। তারা খুনিদের উৎসাহিত করে একের পর এক অমানবিক কাজ করে গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]