বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শাজাহানপুরে উপজেলায় আইনের তোয়াক্কা না করে কৃষি ফসলি উর্বর জমির মাটি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর পুকুর। ফলে একদিকে যেমন এলাকার উর্বর আবাদি জমির পরিমাণ কমছে অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে বসতবাড়ি। সরোজমিনে শনিবার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার ক্ষুদ্র ফুলকোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকায় চলছে অবৈধভাবে মাটি কাটার কাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দিনরাত মাটি কাটা চলে। মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ভারী ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়াও গাড়ির শব্দ ও ধুলার কারণে বাইরে বের হওয়া যায় না। চারপাশে পাড় করে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর গর্ত করার ফলে আশপাশের আবাদি জমি ও বসত বাড়ি ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। জমির মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা প্রকাশ্যে কিছু বলার সাহস পান না। এ বিষয়ে ওই গ্ৰামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, এলাকার আলহাজ মোজাম্মেল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি ধানী (ফসলি জমির) মাটি কেটে নেওয়ার ফলে পাড়ের বসতবাড়ি এবং পাশের সবজি বাগান যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। তা ছাড়া সারা দিন রাত এস্কেভেটর ও ট্রাকের শব্দে ঘুমাতে পারি না। ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা অবৈধ। এছাড়াও বসত বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে মাটি কাটার বৈধতা নেই। চাষের জমি খনন করে মাটি কাটার জন্য প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা এমন প্রশ্নে আলহাজ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন সংবাদ বুলেটিনকে বলেন, লিখিত অনুমতি না থাকলেও তিনি বিষয়টি শাজাহানপুর থানার ওসিকে মৌখিকভাবে অবগত করেছেন। তবে তিনি তার পুকুরে মাটি, স্থানীয় মাদ্রাসা বিল্ডিং ভরাট কাজে দান করেছেন। শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল নাঈম বলেন, অনুমতিহীন ভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা অপরাধ। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
ফ: +8801716159137
Mail: [email protected]