কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
যানজট নিরসনে প্রধান সড়কসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে চলতে পারবে না ব্যাটারিচালিত রিকশা। এক্ষেত্রে কোন কোন সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না তাও নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে টাইগারপাস চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত,নগরের যানজট নিরসনকল্পে মতবিনিময় সভা’য় ব্যটারিচালিত রিকশার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় কোন কোন সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না তা ঘোষণা দেন মেয়র। এরপর তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার শৃঙ্খলার জন্য রোডগুলো আমরা বলে দিয়েছি, তা আপনারা মেইনটেইন করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে দায়–দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। এ কারণে প্রশাসনিক জায়গা থেকে আপনাদের গাড়ির কোনো সমস্যা হয় তখন আমাদের উপর দোষ চাপাতে পারবেন না। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি কোন কোন রোডে চালাতে পারবেন। এসময় ব্যাটারি রিকশার অবৈধ চার্জিং স্টেশন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ারও ঘোষণা দেন।
মেয়র বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যে র্যাম্প নির্মাণ করছে তার বিরোধিতা করেন। মেয়র মনে করেন ‘জনগণের স্বার্থের বাইরে গিয়ে পেনিনসুলা হোটেলের মালিককে খুশি করতে এ র্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।এছাড়া ডা. শাহাদাত নগরের যানজট নিরসনে কর্ণফুলী শাহ আমানত ব্রিজের পাশে বাস স্টেশন চালু, নগরের বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ নির্মাণ, কূলগাঁও বাস টার্মিনাল নির্মাণ, ফুটভার ব্রিজ নির্মাণ এবং গোলচত্বর ঘিরে নিজের নানা পকিল্পনা তুলে ধরেন। এছাড়া হকার পুর্নবাসনে জহুর হকার্স মার্কেট ভেঙে বহুতল মার্কেট করার পরিকল্পনাও তুলে ধরেন।
সভায় সিএমপি এবং বিআরটিএ’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের ডিসি (উত্তর) জয়নুল আবেদীন, ডিসি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান, বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. মাসুদ আলমসহ বিভিন্ন পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। যেসব সড়কে চলতে পারবে না ব্যাটারি রিকশা: ডা. শাহাদাত বলেন, সিএমপি’র ট্রাফিক উত্তর জোন–এর আওতাভুক্ত কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে বহদ্দারহাট হয়ে দামপাড়া পুনাক ক্রসিং পর্যন্ত এবং ষোলশহর ২নং গেইট থেকে প্রবর্তক মোড় ও গোলপাহাড় হয়ে জিইসি পর্যন্ত এবং জাকির হোসেন রোডে ওয়ারলেস মোড় থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না। ট্রাফিক দক্ষিণ জোন–এর আওতাভুক্ত সড়কের তালিকা তুলে ধরে মেয়র বলেন, দামপাড়া পুনাক থেকে টাইগারপাস হয়ে নিউ মার্কেট কোতোয়ালী, নিউ মার্কেট থেকে জুবিলি রোড কাজীর দেউরি, আলমাস হয়ে ওয়াসা মোড়, লালখান বাজার থেকে জামাল খান হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়, গনি বেকারি মোড় হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ, কেয়ারি মার্কেট, গুলজার মোড়, অলি খাঁ মোড়, চট্টগ্রাম মেডিকেল জরুরি বিভাগের গেইট পর্যন্ত মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না। ট্রাফিক পশ্চিম জোন–এর আওতাভুক্ত রাস্তার তালিকা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, দেওয়ানহাট হতে আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়, এঙেস রোড, ডি টি রোড প্রধান সড়কে চলতে পারবে না। বন্দর জোন–এর রাস্তার তালিকা তুলে ধরে মেয়র বলেন, বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে সল্টগোলা ক্রসিং, কর্ণফুলী টানেল গোল চত্বর, আকমল আলী রোডের মাথা এবং লিংক রোডের প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না। ডা. শাহাদাত বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য যত্রতত্র চলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে যানজট কমানোর চেষ্টা করা প্রয়োজন। ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর জন্য যে সব অবৈধ চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো বন্ধে প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আমি আমাদের যে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন তাদেরকে বলেছি। তবে আমি বিআরটিএসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলব। এদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশার রাস্তা নির্ধারণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে ডা. শাহাদাত হোসেন আজাদীকে বলেন, কাল (আজ) থেকে কার্যকর হবে। বাওয়া স্কুলের সামনে র্যাম্প নিয়ে আপত্তি: বাওয়া স্কুলের সামনে এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণে আপত্তি জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, এখানে র্যাম্প হতে দেওয়া যাবে না। এটা আমি মেয়র হিসেবে স্ট্রংলি বলতে চাই। আমি সিডিএকে বলেছি, সিডিএর চেয়ারম্যানকে এবং এখানে সিটি নিয়ে যারা পরিকল্পনা করে তাদেরও বলেছি। নগরপরিকল্পনা নিয়ে যারা ভাবেন তারাও এই র্যাম্পের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয় এই জায়গায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যে কোনো একজন ব্যক্তির লাভের জন্য আমরা আমাদের সিটিতে যানজট করতে পারি না। মেয়র বলেন, ওই সময়কার একজন ব্যবসায়ীকে খুশি করার জন্য, তার হোটেলের ব্যবসা ভালো হওয়ার জন্য একটা র্যাম্প সেখানে বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তার হোটেলের যাত্রীগুলো খুব দ্রুত এয়ারপোর্ট চলে যাওয়ার জন্য। আমি সেদিন উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের সামনে স্পষ্ট বলেছি। যারা সাংবাদিক ছিল তারা হয়তো বা আমার কথা শুনেছেন। আমি পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার সামনে স্পষ্ট বলেছি, পেনিনসুলার যে মালিক তাকে খুশি করার জন্য এই কাজটি করা হয়েছে। এখানে জনগণের স্বার্থের জন্য নয়, বরং জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে সেটা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পেনিনসুলা হোটেলটি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মালিকানাধীন। সম্প্রতি ‘পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম’ জিইসি র্যাম্প’ নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। যাজট নিরসনে আরো যেসব পরিকল্পনা: মেয়র বলেন, নগরীর যানবাহনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হলে যত্রতত্র বাসসহ যেকোন যানবাহন দাঁড়াতে পারবে না। যাত্রী ছাউনি, বাস স্টপেজ যেখানে থাকবে সেখানে দাঁড়াতে হবে। এই জায়গায় আমাদেরকে কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে। যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়ানোর কারণে কেবল যে যানজট বাড়ছে তা নয় বরং সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এই অব্যবস্থাপনা। ডা. শাহাদাত নগরের যানজট নিরসনে বিভিন্ন সেবা সংস্থার বিচ্ছিন্ন কার্যক্রমের পরিবর্তে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যানজট মুক্ত করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবগুলো সেবা সংস্থা সমন্বিত কার্যক্রম প্রয়োজন। তিনি বলেন, শহরের চলাচল করে এসব বাসগুলোকে যদি একটা কোম্পানি বা সর্বোচ্চ পাঁচটা কোম্পানির মাধ্যমে আনতে পারি তাহলে শৃঙ্খলা আসবে এবং যানজট নিরসনে সেটা কিছুটা হলেও কাজ করবে। কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে কম বাস স্টেশন নির্মাণ করার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে যে যানজট হচ্ছে সেটার জন্য আমরা ডিসিকে একটা জায়গা ব্যবস্থা করে দিতে বলেছি। আশা করি এই জায়গাটা বেশি বড় না হলেও ওইখানকার যে গাড়িগুলো আছে আমরা হয়তোবা পাার্কিং এর ব্যবস্থা করতে পারব। আশা করছি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কর্ণফুলী ব্রিজের পাশে বাস স্টেশন চালু করব। তিনি বলেন, বহদ্দারহাটে একটা বাস টার্মিনাল আছে। পর্যাপ্ত সুবিধা সেখানে নেই। সেখানে টয়লেট ফ্যাসিলিটিসটা আসলে ভেরি ইম্পর্টেন্ট এবং সেখানে লাইটিং ফ্যাসিলিটিস বোধয় কম আছে। তো ওগুলো যদি আমরা আরেকটু নিশ্চিত করতে পারি তাহলে নাগরিকদের সুবিধা হবে। গোল চত্বর প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমি আমার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে বলছি অনতিবিলম্বে গোলচত্বরগুলোকে সাইন্টিফিকওয়েতে কিভাবে যানজট নিরসনের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে, কীভাবে স্পেসটা কমিয়ে এনে যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে সে ধরনের একটা স্টাডি এনালাইসিস করে আমাকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। এসময় পার্কিং স্পেস প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমি কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে আমাদের কর্পোরেশন উদ্যোগে ভূমি বরাদ্দ দিলে সেখানে দিনের বেলায় কার পার্কিং থাকবে। আর রাতের বেলায় তারা ওই জায়গাটাকে ছোট ছোট দোকান হিসাবে যেগুলো এখন রাস্তায় বসছে সেগুলোকে মার্কেট হিসেবে তারা ব্যবহার করতে পারবে। এই টাইপের একটা চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। এই চিন্তা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। যেখানে ফ্লাইওভারগুলো আছে সেখানে বেশ স্পেস আছে। সে জায়গাগুলোতে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। অন্যান্য যেসব জায়গায় প্রশস্ত না সেগুলোতে শুধু পার্কিং হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। শাহাদাত বলেন, বড় বড় স্কুলগুলোর যারা মালিক আছেন তাদের অনুরোধ করেছি, বড় বড় সড়ক আছে ওদিকে স্কুলগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য। বিশেষ করে অনন্যার দিকে অনেক জায়গা আছে। এত যানজট অনেক কমে যাবে। প্রাইভেট কারের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব পরিবহন যেন থাকে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করব।
তিনি বলেন, জহুর হকার্স মার্কেট ভেঙে যদি অন্তত তিন তলা করা যায় সেক্ষেত্রে আশেপাশে আমতল, নিউমার্কেট এলাকায় যেসব হকার বসে তাদের পুর্নবাসন করা যাবে। এটা নিয়ে ওদের সঙ্গে বসব। অন্যরা যা বললেন: সিএমপি’র ডিসি (ট্রাফিক–উত্তর) জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য চট্টগ্রাম শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা। একটি শহরকে শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন। তবে চট্টগ্রামে সড়ক আছে মাত্র ১০ শতাংশ। এক্ষেত্রে আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পার্কিংয়ের সংকট। অতি দ্রুত চট্টগ্রাম শহরে পার্কিং প্লেস নির্ধারণ করা জরুরি। আনফরচুনেটলি দেখা যায় রাস্তার পাশে বিভিন্ন যে কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, মার্কেটগুলো আছে তারা তাদের যে পার্কিংগুলো আছে পার্কিংগুলোকে অকুপাইড করে রেখেছে অন্য কাজে। এগুলো উন্মুক্ত করা দরকার। এক্ষেত্রে সিডিএ’র নিজস্ব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার মতো ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। আমাদের সিটি কর্পোরেশনও আছে। তিনি বলেন, যে সমস্ত জায়গায় যতগুলা পার্কিং থাকার কথা সিডিএর কাছে নিশ্চয় প্ল্যানে আছে। ওগুলো যদি অকুপাইড হয়ে থাকে এগুলাকে উন্মুক্ত করলে দেখা যাবে যে মার্কেটকেন্দ্রিক যে গাড়িগুলো আসে এগুলো বেশিরভাগই মার্কেটের নিচে পার্কিং এর সুযোগ পাবে। একটা মার্কেটে যদি দোকান থাকে ধরে নিলাম ১০০ টা পার্কিং প্লেস আছে ৫০ টা কিন্তু আনফরচুনেটলি দোকান মালিকরা নিজেদের গাড়ি রেখে দেয়। তাহলে যারা কাস্টমার তারা গাড়িগুলো রাখবে কোথায়? চাপ থাকে কখন? অফিস আওয়ার, স্কুল আওয়ার। আনফরচুনেটলি চট্টগ্রাম শহরের বড় বড় স্কুলগুলা হচ্ছে সবগুলা চট্টগ্রাম শহরের মেইন স্পটে। যার কারণে এখানে যানজটটা হয়। আপনি দেখবেন ওই সময়ের পরে কিন্তু রাস্তায় খুব একটা চাপ পাবেন না। কিন্তু তারপরও আপনি চাপ পাবেন মোড়কেন্দ্রিক। দেখা যায় আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের কারণে এই চাপটি তৈরি হয়। এজন্য বাসগুলোকে কিছু কোম্পানির অধীনে নিয়ে আসা দরকার। বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন–এর সাধারণ সম্পাদক ওয়াজি উল্লাহ বলেন, ব্যাটারি রিকশার জন্য থানা ভিত্তিক সিলিং নির্ধারণ করে দেন। কত সংখ্যক ব্যাটারি রিকশা চট্টগ্রামে তা নির্ধারণ হোক। এরপর মেইন রোড বাদ দিয়ে অন্য সড়কে চলাচলের জন্য আইনের আওতায় আনতে হবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মত চট্টগ্রামেও পলিসি ঠিক করা হোক। বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. মাসুদ আলম বলেন, ঢাকায় চারটি বাসটি টার্মিনাল আছে। অথচ এতবড় চট্টগ্রাম মহানগরী এখানে কোনো বাস টার্মিনাল নেই। বহাদ্দারহাটে যে বাস টার্মিনাল রয়েছে সেখানে গাড়ি থাকে না। এখানে বাস টার্মিনাল খুব দরকার। ট্রান্সপোর্ট প্রফেসনালস এলাইয়েন্স এর সিইও ড. মোহাম্মদ নুরুল হাসান বলেন, চট্টগ্রামের সড়কগুলো কিন্তু অত চওড়া নয়, প্রচুর সরু সড়ক আছে। তাই চট্টগ্রামকে রিকশা বাদ দিয়ে চিন্তা করতে পারব না। রিকশা রাখতে হবে, কিন্তু কিভাবে রাখা যায় সেটা দেখতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
ফ: +8801716159137
Mail: [email protected]