কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সততার সাথে আমি কাজ করতে চাই। আমি তাই প্রথম দিনেই যত কাজ এখানে অনেক কাজের ধরন দেখেছি। আমাদের এখানে অনেক বাজেট আছে। আড়াই হাজার কোটি টাকার বাজেট রয়ে গেছে। মাত্র ৫শ ৬২ কোটি টাকার ছাড় হয়েছে। আরো প্রায় ১৯ শ কোটি টাকা আছে, কাজ করলে, কাজ করা যাবে। আমি সৎ মানুষের খোঁজ করছি। যারা সত্যিকার অর্থে সুন্দর একটি রাস্তা করতে পারবে। কোন ধরনের চুরি না করে দুর্নীর্তি না করে। তাই আমি ইতোমধ্যে কন্ট্রাক্টর ও ঠিকাদার যারা আছে, ইঞ্জিনিয়ারদের বলে দিয়েছি। যে ৫শ ৬২ কোটি টাকা ইতিমধ্যে ছাড় হয়েছে, ঐ সমস্ত রাস্তার মাপ লেপটেস্ট করে আমাকে জানানোর জন্য যদি কোন ধরনের সেখানের মানের ব্যাপারে কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, অবশ্যই আমি বলেছি তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সমগ্র সিটি কর্পোরেশনে আজকে যে দুর্নীতির সে দুর্নীতি সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি থেকে কোন অংশে কম নয়। বাংলাদেশ থেকে আজ আপনারা জানেন ১৫/ ১৬ অনেক বলে ১৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনে অনেক সম্পদ আছে। সততার সাথে যদি আমরা কাজ করতে পারি। এই সিটি কর্পোরেশনকে নিজের সম্পত্তি না বানিয়ে যদি জনগণের সম্পত্তি হিসেবে আমি উপস্থাপন করতে পারি। ৪ শ ৫০ কোটি টাকার যে দেনার কথা বলা হয়েছে ইনশাআল্লাহ আমি সেটা শূন্যতায় নামিয়ে আনতে পারবো। সেটা আমি বিশ^াস করি। আমি বলেছি, অনেক কমর্শিয়াল মার্কেট আসে যেখানে তারা পার স্কোয়ার ফিট ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা ভাড়া দিয়েছে সেখান থেকে আসার কথা ছিল ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। এভাবে করে তারা সিটি কর্পোরেশনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি গতকাল ২৩ নভেম্বর শনিবার রাত ১১ টার সময় নগরীর চকবাজার ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে আহমেদুর রহমান স্মৃতি সংসদের গণসংবর্ধনা এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমি ২০ হাজার ভিনের অর্ডার দিয়েছি। প্রতিটি দোকানে ভিন দেব। যদি কেউ ভিনে ময়লা না ফেলে রাস্তায় ফেললে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো। আমি আরো ভিনের অর্ডার দেব। সিটি কর্পোরেশনের দুই টা গাড়ি স্ট্যান্ড বাই রেখেছি। সেখানে ইট বালি পাথর ও বিটুমিন রাখা আছে। আপনারা রাস্তার কোথাও যদি খানা খন্দক দেখতে পান। তা অবশ্যই জানাবেন। সাথে সাথে লোক প্রস্তুত তারা গিয়ে কাজ করে দেবে। আপনারা নিজ নিজ ওয়ার্ডে নিজ উদ্যোগে মনিটরিং করবেন। প্রতি ওয়ার্ডে ৫০ থেকে ৬০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী আছে, তাদেরকে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা বেতন দিত, বাকি টাকা তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলদের পকেটে যেত। যার যেটা প্রাপ্য সেটা সে পাবে। কিন্তু কাজ করতে হবে। কাজ না করলে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার সভাপতিত্বে এবং নগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম ও ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজি এমরান উদ্দিনের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন। নগর বিএনপির সাবেক সদস্য নাছির উদ্দীন, মো: আরশাদুল আলম সেলিম, বিএনপি নেতা সিরাজুল হক, নগর বিএনপির সদস্য কামরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: সেকান্দার, সমাজ সেবক একেএম শহিদুল্লাহ শাহজাহান, আবদুর রহিম, আমিন মাহমুদ, ইব্রাহিম বাচ্চু, সালাহ উদ্দিন কায়ছার লাবু, আবদুল হালিম বাবলু, শেখ আলাউদ্দিন, খোরশেদ আলম, আবদুল কাদের, মনসুর সওদাগর, আবদুল হালিম, মো: মুজিব, আরিফুল ইসলাম ডিউক, জিয়াউল হক মিন্টু, শেখ কামাল আলম, মো: ফারুক, মো: সেলিম, ইসমাইল হোসেন লেদু, জাহেদ নূর জিতু, মো: সোহেল, জকির হোসেন, জাবেদুল হক, সাদ্দামুল হক, শফিউল বশর সাজু, মো: জাহেদ, রাকিবুল হাসান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বাদে ফজর ফালাহ গাজী মসজিদের ডা: শাহাদাত হোসেনের পিতা আহমেদুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা শেষে মেজবানের আয়োজন করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]