মোঃ নাজমুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনটে অন্ধ পুকুর নামক একটি জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারী সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার ৪ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের রুদ্রবাড়িয়া মৌজা ও মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি মৌজার মাঝামাঝি অবস্থিত অন্ধ পুকুর পাড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে এক পক্ষের আহতরা হলেন- রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের ওয়াজেদ আলী খন্দকারের ছেলে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মামুন খন্দকার (৩৩), পায়েল খন্দকার (২৭), মৃত কালাচানের ছেলে রায়হান (৩৮), আঃ আজিজের ছেলে ইকন (৩০), ওসমান গনির ছেলে আলামিন (৩২), দুদু খন্দকারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৫), আঃ আজিজ খন্দকার (৫২), নজরুল ইসলামের ছেলে বাদল খন্দকার (৩২), আছাব উদ্দিনের ছেলে ওয়াজেদ আলী খন্দকার (৭০)। এদের মধ্যে ইকন ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আলামিন বগুড়া পপুলার ক্লিনিকে এবং বাকিরা বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।অপর পক্ষের আহতরা হলেন, পীরহাটি গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক টুটুল মাহমুদ (৩৮), আব্দুস ছালামের ছেলে লাল চাঁন (৩০), আবু তাহেরের ছেলে আকরাম হোসেন (৩০), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ (৩৯), জরিফের ছেলে কামরুজ্জামান ঠান্ডু (৫০), নাহের আলীর ছেলে মোহারম (৪০) ও কামরুজ্জামান ঠান্ডুর বোন স্বপ্না খাতুন (৩৫) বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ একর ৪৪ শতাংশের এই অন্ধ পুকুরটি নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। উভয়পক্ষই পুকুরটি নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে আদালতে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে রুদ্রবাড়িয়া ও পীরহাটি মৌজার মাঝখানে অবস্থিত ওই অন্ধ পুকুরে মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক টুটুল গ্রুপ মাছ ধরতে গেলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মামুন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সেই উভয় পক্ষের উত্তেজনা একপর্যায়ে হামলা, পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে প্রায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা টুটুল গ্রুপের ফোরহাদ নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মামুন গ্রুপের পায়েল খন্দকার নামের আরেক যুবকের অবস্থাও আশংকাজনক। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল আলম বলেন, এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]