মোঃ নাজমুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলা ধুনট উপজেলা ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি সামানে যমুনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের ফলে চর এলাকা চরাঞ্চল বন্যা নিয়ন্ত্রণবাধ ও স্পার সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার পথে। এক সময় এই যমুনার চর ভূমির শত শত হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন হলেও ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের ফলে তা এখন বিলুপ্তির পথে। মানববন্ধনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বারবার লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সঙ্গে যমুনা এলাকার মানুষ যেমন তাদের জমি হারাচ্ছে, তেমনি হাজার হাজার টাকার সরকারি সম্পদ নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈশাখী চরের রহিমা বেগম জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর ছোট ছেলে মেয়েকে নিয়ে সংসার করছেন। কিন্তু যমুনায় বড় বড় ড্রেজার মেশিন বসানোর কারণে চারণভূমি থেকে বালু উত্তোলন করায় চারণভূমির জমিজমা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আগে তারা তৃণভূমিতে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও বালু ধ্বংসের কারণে তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে অনেক কষ্টে। ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি গ্রামের বাঁধের পাশে আশ্রিত কৃষক মোঃ সিদ্দিক জানান, বেলাল ও মাহমুদুলসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ১০ থেকে ১২টি বড় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে শাহরাবাড়ী ঘাটে জমা করা ছাড়াও নৌপথে বিক্রি করছে। এটা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা।ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের ফলে তৃণভূমিগুলো বিলুপ্তির পথে এবং সরকারের হাজার হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও স্পারগুলো এখন হুমকির মুখে। বালু উত্তোলনে নেতৃত্বদানকারী ধুনট উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন জানান, বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে বালু মহল হিসেবে নিতে ২৮ লাখ টাকা এবং অতিরিক্ত ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। যেখানে বালির বিন্দু দেখানো হয়েছে, সেখানে চর জেগে ওঠা জায়গা থেকে বালি তোলা হয়। নিয়মের বাইরে অন্য মৌজা থেকে কীভাবে বালু উত্তোলন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বেলাল হোসেন বলেন, কোনো কিছুই নিয়মের মধ্যে পড়ে না! তবুও সবকিছু হয়ে আসছে!আর এসব বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বেলাল হোসেন আরও বলেন, নিয়ম মানা হলে কিছুই হবে না। তাই ধুনট থানা, ইউএনও অফিস, সাংবাদিক এমনকি নৌ পুলিশসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকেও ম্যানেজ করতে হয়েছে। বালু শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের এসব বক্তব্য ও প্রশ্নের উত্তর জানতে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান যোগাযোগের করা হলে তিনি জানান।বালু মহালে সরকারি নির্ধারিত চৈবের মৌজার বাহিরে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুল আলম বলেন, আমি কিছু দিন আগে এসেছি আমার কাছে অভিযোগ এসেছে এলাকাবাসী অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]