নাজমুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ধুনটে যমুনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। যমুনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক সদস্য যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে বর্ষায় যমুনার তীর রক্ষা বাঁধ ভাঙনের হুমকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায় প্রতিদিন সকালে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের আবাদি জমি ও বসতভিটা যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে যমুনার তীর রক্ষা বাঁধে সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ চলছে। এ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ রকম অবস্থায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হজরত আলী শহড়াবাড়ি নৌঘাট এলাকায় খননযন্ত্র দিয়ে যমুনার বালু তোলা শুরু করেন। স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, হজরত আলী প্রায় দীর্ঘ ধরে বালু তুলে বাল্কহেডে ভরে বিক্রি করছেন।উপজেলার শহড়াবাড়ি গ্রামের কাছে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া আফজাল হোসেন বলেন, কয়েকবার বাড়িঘর যমুনার ভাঙনে পইড়া সব হাইরা এই বাঁধের ওপর ঘরবাড়ি তুইলা থাকুনছি। এহেনোও ভাঙনে পইড়া গেলে আর কোনহানে যাওনের জায়গা নাই। হেরা নদী থাইকা বালু তুইলা বেইচা বড় লোক হইতোছে। বালু তোলা বন্ধ করতে আমরা ১০ থাইকা ১২ জন মিলা কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিছি। কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। জানতে চাইলে হজরত আলী বলেন, যমুনার চরে আমাদের জমি আছে। সেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এতে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কোনো ক্ষতি হবে না। আর শুধু আমি একা নই। অনেকেই একইভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, বালু তোলায় প্রকল্প এলাকায় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যমুনা নদীর চর এলাকা থেকে বালু তুলছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। উপজেলা প্রশাসনকেই এ ব্যবস্থা নিতে হবে।’ইউএনও বলেন, কাউকে যমুনা থেকে বালু তোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বালু তোলার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম পারভেজ
মোবাইল: +8801716159137
Mail: [email protected]